ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ খুঁজে বের করে তা মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের দাবি

প্রকাশিত : ১৫:৪৭, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৫:৪৭, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

মীর কাসেম আলী শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাযজ্ঞেই নেতৃত্ব দেননি, স্বাধীনতার পরে জামায়াতের আর্থিক ভিত মজবুত করে তা কাজে লাগিয়েছেন দেশে মৌলবাদের বীজ বপনে। ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, দিগন্ত টিভি, রাবিতা আল- ইসলামীর পরিচালনায় ছিলেন সরাসরি। এছাড়া, দলের নেতা-কর্মীদের দিয়ে দাঁড় করিয়েছেন কয়েকশ প্রতিষ্ঠান। কাসেম আলীর মতো যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ খুঁজে বের করে তা মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। একাত্তরে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাই নয়, অসংখ্য নারী- পুরুষকে হত্যা- নির্যাতনে দেয় জামায়াতে ইসলামী। তবে, স্বাধীনতার পর মসজিদ-মাদ্রাসা ধ্বংসের মিথ্যা বর্ননা দিয়ে সৌদি আরব থেকে জামায়াতে ইসলামীর জন্য অর্থ সংগ্রহ শুরু হয় মীর কাসেম আলীর মাধ্যমে। সেই টাকায় দলকে সংগঠিত করে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্তে জামায়াতের যে ১২৭ প্রতিষ্ঠানের নাম আসে, সেসবও গড়ে উঠেছে মীর কাসেমের কৌশলী ভূমিকায়। একটি কমিশন গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত। মূল তত্ত্ববধায়ক মীর কাসেম আলীর ফাঁসি হলেও প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারির তাগিদ দিয়েছে অর্থনীতি সমিতি। দেশে মৌলবাদের ভিত্তি শক্তিশালী করতে এ’সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখছে বলেও জানান তারা।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি