শিল্প-কারখানা গ্যাস-বিদ্যুতের অভাব, এলএনজি আমদানির পক্ষে মত এফবিসিসিআই সভাপতির
প্রকাশিত : ১১:৩৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১১:৩৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক শিল্প-কারখানা। এমন পরিস্থিতিতে গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে বাপেক্সকে শক্তিশালী করে গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কার, অনুসন্ধান ও উত্তোলন এবং জ্বালানি নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দ্রুত সংকট কাটাতে এলএনজি আমদানির পক্ষে মত এফবিসিসিআই সভাপতির।
দেশে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বিপরীতে ২ হাজার মিলিয়ন ঘটফুট ছাড়াতে পারছে না উৎপাদন। উৎপাদিত গ্যাসের মাত্র ১২ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে গৃহস্থালী কাজে। বাকীটা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কলকারাখানায় ব্যবহৃত হয়।
গ্যাসের অভাবে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকায় ১০০০ হাজার মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আর গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে প্রায় ২০০০ হাজার ছোট শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কথা বলছেন সংশ্লিস্টরা।
তুলনামূলক কমদামের জ্বালানী, গ্যাসের উৎপাদন ও অনুসন্ধানে ৯০এর দশক থেকে, দেশীয় কোম্পানি বাপেক্সকে গুরুত্ব না দিয়ে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করা হয়েছে। যে কারণেই সংকট বেড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে বাপেক্সের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও একটি স্থায়ী জ্বালানী নীতির মাধ্যমে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সচল করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ব্যবাসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মনে করেন, দ্রুত সংযোগ বাড়ানো প্রয়োজন। উৎপাদন খরচ কিছুটা বাড়লেও এলএনজিসহ বিকল্প জ্বালানীতে সংকট কাটানো যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
তবে গ্যাসভিত্তিক আরো বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসার আগেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ এফবিসিসিআই সভাপতির।
আরও পড়ুন