ঢাকা, বুধবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৫

শেষ হলো যশোরের শেখ হাসিনা আইসিটি পার্কে চাকরি মেলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪৭, ৫ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১০:২৮, ৬ অক্টোবর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

চাকরি প্রত্যাশীদের ব্যাপক অংশগ্রণে শেষ হলো যশোরের শেখ হাসিনা আইসিটি পার্কে চাকরি মেলা। একদিনের জন্য আয়োজিত এ মেলায় চাকরির আশায় হাজার হাজার তরুণ-তরুণী ভিড় জমিয়েছেন। যশোরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক কর্তপক্ষ বৃহস্পতিবার আয়োজন করে একদিনের এই চাকরি মেলা।

বৃহস্পতিবার সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মেলা উদ্বোধন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, যশোর জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান প্রমুখ।

মেলায় দেখা যায়, দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে এক স্থানে স্তূপ করে রাখছেন। এ কারণে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করেছেন যশোরসহ আশপাশের জেলা থেকে আসা বিপুল সংখ্যক চাকরিপ্রত্যাশী। উপচে পড়া ভিড়ের কারণে চাকরিপ্রার্থীরা ঠিকমতো সিভি জমা দিতে পারেননি বলে জানান মেলায় অংশ নেওয়া চাকরি প্রার্থীরা।

সকাল ৯টায় মেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আটটার কিছু আগে থেকে তরুণ-তরুণীরা টেকনোলজি পার্কে ঢুকতে শুরু করেন। সকাল ৯টার মধ্যে জনারণ্যে পরিণত হয় পার্ক চত্বর। ভবনের অভ্যন্তরে আয়োজিত মেলায় ঢুকতে গিয়ে ফটকের সামনে জনজট তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে হালকা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অবশ্য এসময় পুলিশের এক কর্মকর্তা এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে তরুণ-তরুণীদের সুশৃঙ্খলভাবে মেলায় প্রবেশের অনুরোধ করেন।

পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, এমন ভিড় আশাতীত। আগে যদি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে নিয়ে সভা করা হতো তাহলে আয়োজনটি আরো সুশৃঙ্খল হতো। এছাড়া ভবনের ভেতরে না করে বাইরে এই আয়োজন করা দরকার ছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল ইসলাম বলেন, শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দুইশ করে তরুণ-তরুণীকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। অন্যরা লাইন ধরে অপেক্ষমাণ।

আগতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যশোরসহ আশেপাশের জেলা থেকে তারা এসেছেন। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন-সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ থেকে এসেছেন সন্দীপকুমার মল্ল ও তার পাঁচ বন্ধু। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে এসেছেন মিসওয়া উদ্দিন। তারাসহ অনেকেই জানালেন, মেলায় ঢুকতে পারছেন না। কোনো প্রতিষ্ঠানে সিভি জমা দিতে পারছি না। পুলিশ সিভি নিয়ে এক জায়গায় ফেলে রাখছে। তারা জানেন না এভাবে সিভি ফেলে রাখলে কোনো কাজ হবে কিনা।

টেকনোলজি পার্কের ইনচার্জ প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভাবতেই পারিনি এতো বিপুল সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী আসবে।

জীবন বৃত্তান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো বাছাই করে নেবে।

মেলায় উপস্থিতির সংখ্যা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। এজন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট, জবিপ্রবি, এমএম কলেজ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর পলিটেকনিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে এ পার্কে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান কাজও শুরু করেছে। এ সকল প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি এই চাকরি মেলা থেকে তাদের কর্মী নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে, চাকরি মেলা উপলক্ষে আশপাশের জেলাগুলোর বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণী আসায় গোটা যশোর শহরে জ্যাম লেগে যায়। সকাল দশটার পর থেকে কার্যত যশোর শহর স্থবির হয়ে যায়। কম্পিউটারের দোকানগুলোতে সিভি তৈরির হিড়িক পড়ে যায়। মেলায় স্টল ছিল ৩০টি প্রতিষ্ঠানের।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি