ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ জুন ২০২৫

৫ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪০, ১৭ জুন ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম (৯২) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনির বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
 
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। বিকেলে আসরের নামাজ শেষে নিকলীর গুরুই ঈদগাহ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং গুরুই শাহী মসজিদের পাশের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
 
সখিনা বেগমের জন্ম নিকলী উপজেলার হাওর অধ্যুষিত গুরুই গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই স্বামী কিতাব আলী মারা যান। নিঃসন্তান সখিনা বেগম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
  
যুদ্ধে তার ভাগ্নে মতিউর রহমান সম্মুখসমরে শহীদ হলে সখিনা বেগম প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন। তিনি বসু বাহিনীর ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন এবং রাজাকারদের গতিবিধি নজরদারি করে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দিতেন। একপর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও কৌশলে পালিয়ে আসেন। পালানোর সময় সাথে নিয়ে আসেন একটি ধারালো দা। সেই দা দিয়ে পরবর্তীতে তিনি পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন। ঐতিহাসিক সেই দাটি বর্তমানে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
 
একাত্তরের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সখিনা বেগমকে বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব প্রদান করা হয়। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি বাজিতপুরের হিলচিয়ায় ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তারের সাথে বসবাস করতেন।
 
নিকলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তোতা মিয়া জানান, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন সাহসী সন্তান, তার মৃত্যুতে এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি