ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বাইশে শ্রাবণে ‘ভুবনজোড়া আসনখানি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪৫, ৩১ জুলাই ২০২০

‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইবো না মোর খেয়া তরী এই ঘাটে-গো’— কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পায়ের চিহ্ন না রইলেও তার রচনায় ভর করে খেয়াতরী বাওয়া ছাড়েননি কবি। আসছে বাইশে শ্রাবণ কবিগুরুর ৮০তম মহাপ্রয়াণ দিবস। এ দিনে ওপার বাংলার বাগুইআটি নৃত্যাঙ্গনের আয়োজনে আগামী ৭ অগস্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ভুবনজোড়া আসনখানি’। 

দুই বাংলার রবীন্দ্রপ্রেমীদের নিয়ে নিমতলা মহাশ্মশানে বিশ্বকবির সমাধিতে শ্রদ্ধা অর্পণের মাধ্যমে সূচনা হবে মূল অনুষ্ঠানের। এরপর জোড়াসাঁকো হয়ে রবীন্দ্রভারতী এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা। প্রযুক্তির হাত ধরে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি শিলচর, গুয়াহাটি, আগরতলা, জামশেদপুর, রাঁচির মতো শহরের রবীন্দ্রপ্রেমীরা। বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভিন্ন‌ দেশের শিল্পীরাও এতে যোগ দিচ্ছেন। পারস্পরিক দূরত্বের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ আয়োজন করা হচ্ছে।

রবীন্দ্রনাথ এমনই এক নাম যিনি ছেয়ে রয়েছেন জীবন জুড়ে, প্রতিটি নিঃশ্বাসে। বাদল দিনে যখন প্রথম কদম ফুল ফুটে ওঠে, তখন আকাশ জুড়ে তাঁরই নাম বাজে। শুকনো গাঙে জীবনের বন্যা তাঁরই জয়গান গেয়ে ওঠে, খেলাঘর বাঁধতে গেলে মনে পড়ে তাঁর কথা, আবার বিপদকে ভয় না-করার বাণীটিও তাঁরই দেওয়া। শিশুর দেখা এক পায়ে দাঁড়ানো তালগাছ, বাংলার মাটি-জল-বায়ু-ফল, কালো কাজল মেঘ, কিনু গোয়ালার গলির বাঁশি কিংবা সন্ধ্যাসঙ্গীতটি চিনতে শিখিয়েছেন তিনিই।

প্রসঙ্গত, দুই বাংলার বাঙালিদের প্রযুক্তির সুতায় বেঁধে নিয়ে গত পঁচিশে বৈশাখে আয়োজন করা হয়েছিল সপ্তাহব্যাপী ‘রবীন্দ্র জয়ন্তী’। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বাইশে শ্রাবণেও আয়োজন করা হয়েছে ‘ভুবনজোড়া আসনখানি’।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি