ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

জেনে নিন দেশে দেশে করোনায় প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু সংখ্যা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৮, ৬ এপ্রিল ২০২০

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৮০ জন প্রবাসী বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই মৃত বাংলাদেশির সংখ্যা ৬৩জন ছাড়িয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

যুক্তরাষ্ট্র সহ করোনা ভাইরাসে যেসব দেশে বাংলাদেশি মারা গেছেন সেটার একটা তালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘সংখ্যাটা প্রতিদিন বাড়ছে।’

প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যে কূটনৈতিক দপ্তর আছে সেসব জায়গা থেকে খবর আসছে নতুন করে কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন অথবা মারা যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে।

‘আমরা তালিকাটা করছি। প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশের মিশনগুলো এটা করেছে এবং তারা আমাদের তালিকা জানাচ্ছে,’ বলছেন আব্দুল মোমেন।

যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাটা সবচেয়ে উদ্বেগজনক।

কোন দেশে কতজন বাংলাদেশি মারা গেছেন

যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন কমপক্ষে ৬৩ জন
যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন ১১ জন
সৌদি আরবে ৫ জন
কাতারে ২ জন
ইতালিতে ২ জন
স্পেনে ১ জন
গাম্বিয়ায় ১ জন

ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীরা আতঙ্কে

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান থেকে জানা যায়, শুরু থেকে কেউই বিষয়টিকে পাত্তা দেয়নি। বাংলাদেশিরাও না। এখন সবাই গুরুতরভাবে দেখছে করোনা ভাইরাসকে।

বাইরে বের হলে এক হাজার ডলারের জরিমানাও করা হচ্ছে যদি আপনি কোনো শক্ত কারণ দেখাতে না পারেন।

ওদিকে নর্থ ডাকোটার অবস্থা বেশ ভাল বলছেন সাফিন জাহিদ।

তিনি বলেন, ‘এখানে বাঙালীর সংখ্যা ১০০রও নিচে। প্রথম করোনা রোগি পাওয়া যায় এখানে গেলো ৩০শে মার্চ। আর এখন এর সংখ্যা ১১ জন। শেষ ২৪ ঘন্টায় ১ জন বেড়েছে। আর পুরো আমাদের এখানে গেলো ২ সপ্তাহ ধরে মানুষ সচেতন ভাবে চলাচল করছে।’

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাসকারী বাংলাদেশি দম্পতি জিয়াউর রহমান ও সানিয়া শাম্মি জানান, এখন পর্যন্ত তারা সম্পূর্ণ গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন।

নির্দিষ্ট পরিমাণে খাবার বাসায় কিনে এখন ঘরে সময় কাটাচ্ছেন।

যদিও যুক্তরাজ্য পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করেনি তবু তারা সতর্কতা হিসেবে কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না।

জার্মানির বাদেন উর্টেমবুর্গ স্টেটের হাইডেলবার্গে আছেন তাইশা তাশরিন। তিনি বলেন, তিনি আশা করছেন জার্মানিতে ইস্টারের পর কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হবে।

হাইডেলবর্গের অবস্থা তিনি বর্ণনা করেন এভাবে, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান বাদে সব বন্ধ। সুপারমার্কেটে পর্যাপ্ত খাবার আসছে। সময়মতো গেলে টয়লেট পেপারও পাওয়া যায়। মনে হচ্ছে মানুষ প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে ঘরে থাকায় অভ্যস্ত হচ্ছে।’

করোনা ভাইরাসের অন্যতম কেন্দ্র ইতালির রোমে বাস করেন শানু হাসান, তিনি বলেন, শুধু রোম নয়, পুরো ইতালিতে বাংলাদেশিরা অন্য জায়গার তুলনায় ভালো আছেন।

তবে ইতালির আরেক শহর উদিনে আছেন সুলতান মাহমুদ লিখন, তিনি বলেন বাংলাদেশিরা এখনো তেমনভাবে আক্রান্ত না হলেও মানসিকভাবে খারাপ সময় পার করছেন তিনি ও তার পরিবার।

ইতালিতে কাজ করা বাংলাদেশি ঔষধ গবেষক এ, এইচ, এম, সাইফুদ্দিন বলেন, ‘চোখের সামনে প্রতিদিন লাশ দেখে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকা যায় না এরপরও নিজেকে সান্ত্বনা দেই নিজের দেশ, পরিবারের কথা ভেবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রমান্বয়ে বাজে অবস্থা খুবই পীড়া দিচ্ছে’

বিশ্ব পরিস্থিতি:

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।

প্রায় পৌনে ১৩ লাখ মানুষের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে।

বিভিন্ন দেশে মৃতের সংখ্যা
ইটালি ১৫৮৮৭

স্পেন ১২৬৪১

ফ্রান্স ৮০৭৮

যুক্তরাজ্য ৪৯৩৪

ইরান ৩৬০৩

সূত্র: বিবিসি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি