ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বর্ষাকালে বেগুন চাষ করে শিপনের মুখে হাসি 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:৫৯, ২৮ জুলাই ২০২০

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোন ইউনিয়নের ডেংগার বন গ্রামের কৃষক শিপন মিয়া হাইব্রিড ও পাপলকিং জাতের বেগুন চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়ে়ছেন। এতে হাসি ফুটেছে ওই কৃষকের মুখে।

শিপন জানান, ‘গত ছয় মাস থেকে ফলন-বিক্রি করে আসছেন, বর্তমানেও তার জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বেগুন রয়েছে। এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ৮০ হাজার টাকা।’

তিনি জানান, ‘তার উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকার মতো। বর্তমানে বাজার দর পাচ্ছেন কেজিতে ২৪/২৫ টাকা। গত দুই বছর যাবত লালতীরের পাপলকিং জাতের বেগুন চাষ করছেন। চমৎকার ফলন ও বাজারে চাহিদা বেশি এই জাতের বেগুনের।’

এ বিষযে় লাল তীর সীড লিমিটেডের ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী জানান, ‘এটি অতি উত্তম গ্রীষ্মকালীন বেগুনের জাত। তবে বর্তমানে সারা বছরই চাষ হচ্ছে। হাইব্রিড বেগুন পাপলকিং ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে। প্রতি গাছে ৬০ থেকে ৭০টি ফল ধরে। এর আরও একটি গুণ হলো, এটি  তাপ, বৃষ্টি ও লবণাক্ততা সহনশীল।’

জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী একটি বহুল পরিচিত জনপ্রিয়জাত। আকর্ষণীয় চকচকে বেগুনি রংয়ের হয়, খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। বীজ বপনের ৬০ থেকে ৭০ দিনের ভিতরে ফসল সংগ্রহ করা যায়। জাতটি ইতিমধ্যে ব্যাপক পরিচিত এবং কৃষকের মাঝে বেশ পরিচিত পেয়েছে।’ 

এ বিষযে় শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি জানান, ‘জাতটির সত্যিই চমৎকার ফলন এবং আকর্ষণীয়। বেগুনি রংয়ের এ ফলন উৎপাদনের কৃষকের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে।’

এআই/এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি