একটি কম্বলের জন্য
প্রকাশিত : ২০:৩৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ২০:৩৭, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) অ্যাসোসিয়েশনের চার সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল তোফাজ্জল মুন্নু ব্যাচঃ ৮৫, আশিকুর বাপ্পী ২০০০, ফয়সাল মাহমুদ ২০০১ এবং ফয়জুল্লাহ খান ২০১২ গিয়েছিলেন কুড়িগ্রামের চিলমারীতে।
অ্যাসোসিয়েশন থেকে জানানো হয়, উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রাম একটি দারিদ্রপীড়ত এলাকা। চিলমারীর যে স্থানটিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কার্যক্রম করেন তা ছিলো তিস্তা এবং ব্রম্মপুত্র নদীর মিলিত মোহনায় একটি চরাঞ্চল। যেখানে বর্ষার সময় হয় বন্যা আর শুকনা মৌসুমে দেখা দেয় শৈত্য প্রবাহ। প্রচণ্ড শীত আর বন্যার সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকেন এই অঞ্চলের অসহায় মানুষগুলো। তাই শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এই এলাকাটি বেছে নিয়েছিলেন এই সকল মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে।
আরও বলা হয়, সেখানে পৌঁছে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দল তাদের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা হাড়ে হাড়ে টের পায়। মাত্র ১৫০ টি কম্বল বিতরণের লক্ষ্যে ১৩০ টি কুপন স্থানীয় প্রতিনিধি নাহিদ নলেজ ও শাহীনের মাধ্যমে পুর্বেই বিতরণ করা হয়। বাকী ২০টি টোকেন উপস্থিত অসহায়, দরিদ্র ও বৃদ্ধ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয় (যারা আগে টোকেন পাননি তাদের মাঝে)।
নির্ধারিত দিন সকালে ডাংগার চর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি করে কম্বল নিতে উপস্থিত হন প্রায় তিনগুন শীতার্ত মানুষ। টোকেন না পাওয়া অসহায় শীতার্ত মানুষগুলোর একটি মাত্র কম্বলের জন্য ব্যাকুল আকুতি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি দলকে ব্যাথিত করেছে। প্রায় তিনগুন মানুষ যাদের প্রত্যেকের চোখে মুখে চরম দারিদ্রতার ছাপ আর সাহায্য প্রাপ্তির প্রত্যাশা। সীমিত আকারের এই কার্যক্রমে অ্যালামনাই প্রতিনিধি দল প্রশান্তি আর স্বার্থকতার তৃপ্তি নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসে।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন থেকে বলা হয়, কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা -ভালবাসায় সিক্ত হয়ে অ্যালামনাই প্রতিনিধি দল যখন চিলমারি থেকে প্রস্থান করে তখন উপস্থিত নিস্পাপ সেই ফিরে যাওয়া মানুষগুলোর অসহায় চাহনি ও মুখগুলো স্মৃতিপটে ভেসে উঠে। শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ন্যায় দেশের অন্যান্য সংগঠন ও সামর্থ্যবান ব্যাক্তিগণ এমন উদ্যোগ নিলে চিলমারীর শীতার্ত মানুষগুলোর অসহায় চাহনি হয়ে ওঠতো হাসি মাখা মুখ।
এসি
আরও পড়ুন