ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

প্লাস্টিকের কাছে কোণঠাসা শীতল পাটি

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:১৩, ১৯ অক্টোবর ২০২১

হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে বাংলার শীতল পাটি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত কুটির শিল্প এটি। কালের বিবর্তনে প্লাস্টিকের পাটির কাছে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও অনেক কারিগরই বংশ পরম্পরায় ধরে রেখেছেন শীতল পাটির ঐতিহ্য।

ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বাংলা কবিতা ও গানে শীতল পাটির কথা উঠে এসেছে আগে থেকেই।

শীতল পাটি মেঝেতে পাতা এক ধরনের আসন বা গালিচা। মুর্তা বা পাটি বেত বা মোস্তাক নামের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদের ছাল থেকে এগুলো তৈরি হয়। শহরে এখন শো-পিস হিসেবে রাখা হলেও গ্রামে এটি মাদুর ও বিছানার চাদরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। শীতল, মসৃণ ও আরামদায়ক বলে এর কদর রয়েছে বেশ।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া গ্রামে রয়েছে পাটিয়াল পাড়া। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বংশ পরম্পরায় শীতল পাটি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এখানকার মানুষ।

কারিগররা জানান, ছোট একটি পাটি বানাতে ২ থেকে ৩ দিন এবং মাঝারি ও বড় পাটি বানাতে ৬ থেকে ৭ দিন সময় লাগে। 

কারিগররা জানান, আমার দাদায় করেছে, বাবা করেছে ছোট থেকে আমিও করছি। তবে প্লাস্টিক এসে আমাদের কাজটি নষ্ট করে দিয়েছে।

এদিকে কারিগরদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ বলেন, এই ঐতিহ্যটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এবং এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সকল কার্যক্রম উপজেলা প্রশাসন গ্রহণ করবে।

জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের শীতল পাটি বুননের ঐতিহ্যগত হস্তশিল্পকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি