মোমেনা হত্যার ৭ বছর পর রহস্য উদঘাটন, পুত্রবধূ আটক

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বৃদ্ধা মোমেনা বেওয়া হত্যার ৭ বছর পর রহস্য উদঘাটন হয়েছে। আলোচিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিহতের পুত্রবধূকে আটক করেছে পিবিআই। 

সোমবার দুপুরে শহরের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম।

আটক মোছাঃ রিনা খাতুন (৫৫) উল্লাপাড়ার দহকুলা দক্ষিণপাড়ার মৃত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ২৭ মে সন্ধ্যায় দহকুলার মৃত আব্দুল গনির স্ত্রী বৃদ্ধা মোমেনা বেওয়া (৭০), পড়নের শাড়ি দিয়ে ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তার ছেলের বউ এবং নাতিরা প্রকাশ করে। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে। 

এরপর ভিকটিমের মেয়ের জামাই মাহবুবুল আলম বুলু বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করেন। 

পরবর্তীতে ভিকটিমের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যায় যে, ভিকটিম মোমেনা বেওয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। রিপোর্ট প্রাপ্তির পরে ভিকটিম মোমেনা বেওয়ার নাতী (মেয়ের ছেলে) মোঃ আমিরুল ইসলাম বাবু ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন আসামি করে উল্লাপাড়া থানায় এজাহার দায়ের করেন। 

ভিকটিম মোমেনা বেওয়া তার নামীয় জমি বিক্রি করে তার মেয়ে অসুস্থ্য ছালমা খাতুনকে সহায়তা করেন। এ কারণে ভিকটিমের সঙ্গে আসামিদের মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায়।

এ মামলার তদন্তভার সিরাজগঞ্জ পিবিআই পেয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার শাহজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনি থেকে পলাতক পুত্রবধূ নাজমা খাতুনকে আটক করে। তিনি ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

এএইচ