ঢাকা, রবিবার   ০৬ জুলাই ২০২৫

ওড়িশায় ফণীর তাণ্ডবে পানির নিচে একাধিক এলাকা, নিহত ৩

প্রকাশিত : ১২:৫৫, ৩ মে ২০১৯ | আপডেট: ১২:৫৯, ৩ মে ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশায় ঘূণীঝড় ফনীর তাণ্ডবে পানির নিচে তলিয়ে একাধিক এলাকা। এতে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে আরও ঘণ্টা তিনেক ওড়িশাতেই থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি। ভয়াবহ বৃষ্টির সম্ভাবনা` জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর ওড়িশায় আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ফণী।

ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার। আবহাওয়া দপ্তরের সূত্র বলছে দুপুর পর্যন্ত ওড়িশায় তাণ্ডব চালাবে ফণী তারপর তা এগোতে থাকবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে ।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে আরও কয়েক ঘণ্টা ওড়িশাতেই থাকবে ঘূর্ণিঝড়।এমনিতেই ওড়িশার গোপালপুর, পুরী,পারাদ্বীপের মতো জায়গায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পুরী থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি জায়গায় অতিভারী বৃষ্টিপাতের খবর মিলেছে। জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক সেরেছেন ওড়িশার মুখ্যসচিব। সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ আবহাওয়া দপ্তরের তরফে বলা হয় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।

১৯৯৯ সালের ওড়িশার পারাদ্বীপে সুপার সাইক্লোনের পর এই সাইক্লোন ফণীই সবথেকে বেশি শক্তিশালী ও মারাত্মক। ওড়িশায় ওই সাইক্লোনে প্রাণ গিয়েছিল প্রায় ১০ হাজার মানুষের। গত ৪৩ বছরে ভারতের সামুদ্রিক অঞ্চলের দিকে এত বড় ঝড় আর ধেয়ে আসেনি। আগেই ভয়াবহ বৃষ্টির সম্ভাবনা` জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আজ সকাল আটটার কিছু পরেই ঘূর্ণিঝড়ের লক্ষণ স্পষ্ট হতে শুরু করে। এর আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওড়িশার ১১`টি জেলা থেকে মানুষকে সরানো কাজ শুরু হয়। পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, গঞ্জাম, খুরদা, কটক এবং জাজপুর। একটি সূত্র বলছে উদ্ধার করে নিয়ে আসা মানুষদের খাওয়ানোর জন্য সব মিলিয়ে হাজার পাঁচেক অস্থায়ী রান্নাঘর খোলা হয়েছে।

টিআর/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি