জিএম কাদেরের ‘চেয়ারম্যান পদ’ নিয়ে হাইকোর্টের রুল
প্রকাশিত : ১৯:২১, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৯:২৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

জি এম কাদের
জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদে জিএম কাদেরের নিয়োগ নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম-এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও জিএম কাদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. জাকারিয়া।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর-উস সাদিক।
আইনজীবীরা জানান, জাপার গঠনতন্ত্র অনুসারে দলের কোনও পদে বসতে হলে তাকে কাউন্সিলের মাধ্যমে আসতে হবে। কিন্ত জিএম কাদেরের ক্ষেত্রে তা হয়নি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনেও চিঠি দিয়ে কোনও উত্তর না পেয়ে দলটির এক সদস্য হাইকোর্টে আবেদনটি করেন।
২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার ছোট ভাই ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছিলেন। চলতি বছরের ২১ মার্চ রাতে আকস্মিকভাবে কাদেরকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেন এরশাদ। এরপর ৪ এপ্রিল আবারও তাকে কো-চেয়ারম্যান পদে ফিরিয়ে আনেন এরশাদ।
এর মাঝে ৫ মে জি এম কাদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেও ঘোষণা দেন পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান। পরে চলতি বছরের ১৪ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ।
তার মৃত্যুর পর ১৮ জুলাই রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নাম ঘোষণা করেন। প্রথমে ওই ঘোষণার বিরোধিতা করলেও পরে এরশাদপত্নী রওশন ও জিএম কাদেরের মধ্যে সমঝোতা হয়।
পরে ৮ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জাপা মহাসচিব জানিয়েছিলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন জিএম কাদের। অন্যদিকে, সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে থাকবেন রওশন এরশাদ।
এনএস/
আরও পড়ুন