ঢাকা, সোমবার   ২৩ জুন ২০২৫

টানা ৯ দিন সুর্যের দেখা নেই, বাড়ছে রোগবালাই

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ০৯:২৮, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১০:১৭, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

শীতের কবলে দেশ। রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়-সহ বেশ কিছু জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত। ক্ষতির মুখে বোরো বীজতলা ও রবিশস্য। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

দেশের ৪ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। 

প্রতিদিন হ্রাস পাচ্ছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য। বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাচ্ছে। গতকাল দেশের ২৩টি জেলায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামে। আবহাওয়া বিশ্লেষকেরা বলছেন, আজও বাড়তে পারে হাড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা।

শৈত্য প্রবাহের সাথে প্রচণ্ড ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে পুরো রংপুর অঞ্চল। ৯ দিন ধরে সুর্যের দেখা মেলেনি। 
এদিকে, শৈত্য প্রবাহের কারণে নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া, সর্দি জ্বর শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ বালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের জনপদ নীলফামারী। সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। বইছে হিমশীতল বাতাস। তীব্র শীতে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে শ্রমজীবী মানুষের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির মতো কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসে অসহনীয় শীতের প্রকোপে ক্ষতি হচ্ছে বোরো ধানের বীজ তলার। বীজের অঙ্কুরোদম হচ্ছে না এবং বীজ তলা হলুদ হয়ে যাচ্ছে। 

গেলো আটদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না লালমনিরহাটে। দিনের অধিকাংশ সময় আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ বালাই। 

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কুড়িগ্রামের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ঠাণ্ডায় বাড়ছে শীতজনিত রোগ।

কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশা এবং হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে গাইবান্ধায়।  

শীতে জীবনযাত্রা অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ায় নাকাল পুরো সিরাজগঞ্জবাসী। বিশেষ করে নদীপাড়ের মানুষের এ সমস্যাটা আরো প্রকট। স্বল্প আয়ের দরিদ্ররা পড়েছে বিপাকে।

নেত্রকোনায় জেঁকে বসেছে শীত, দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

ঘন কুয়াশায় হুমকির মুখে পড়েছে যশোরের বোরো বীজতলা। রাতের বেলায় ক্ষেত পলিথিন দিয়ে ডেকে রাখছে কৃষকরা। বোরো আবাদের শুরুতেই নেতিবাচক আবহাওয়ায় দুশ্চিন্তায় তারা। 

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, ঘন কুয়াশা পড়লেও তীব্র শৈতপ্রবাহ না হওয়ায় বোরোর বীজতলায় তেমন ক্ষতি হবে না। বীজতলা রক্ষায় দিনের বেলায় ক্ষেত থেকে পানি সরিয়ে রাতে সূর্য না উঠা পর্যন্ত পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। 

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে যশোর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।

মাদারীপুরে প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছেন প্রন্তিক চাষিরা। ধানের চারা রোপনে বিঘ্ন, অন্যান্য ফসলে বিভিন্ন পোকামাকড় ও ছত্রাকের আক্রমন, বিজ বা চারা বড় না হওয়ায় বিপাকে পরেছে কৃষকরা। দ্রুত আবহাওয়া ভালো হলে তেমন ক্ষতির আশংকা নেই দাবি কৃষি কর্মকর্তার। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি