ঢাকা, শনিবার   ২১ জুন ২০২৫

৫৭ ধারা পবির্তনে কাজ করবো: মোস্তফা জব্বার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২৯, ৪ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৩১, ৪ জানুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

দীর্ঘদিন ধরে ৫৭ ধারার সমালোচনা করে আসা প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার জানিয়েছেন, ৫৭ ধারা পরিবর্তনে তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের একদিন পর একুশে টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান একুশের রাতে উপস্থিত হয়ে এ মন্তব্য করেন নতুন এই মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ৫৭ ধারাটি এখন সংসদের বিষয়। তবে অবশ্যই ধারাটির পরিবর্তনে কাজ চালিয়ে যাবো। এদিকে আইসিটি নিরাপত্তায় সরকার ইতোমধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটি বিশ্বমানের এবং এ অঞ্চলের জন্য একটি মডেল। তাই ৫৭ ধারা নিয়ে এখন আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।

এদিকে সাইবার নিরাপত্তা বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি সব মহলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কেবল সরকারের একক প্রচেষ্ঠায় সাইবার নিরাপত্তা পুরোপুরি দেওয়া হয়তো সম্ভব নয়। এরজন্য দরকার শতভাগ সচেতনতা। সচেতনতার মাধ্যমেই সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 এদিকে ৫৭ ধারা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এই আইনটি তৈরি করার সময় দেশে যুদ্ধাপরাধীদের দোসররা মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে নাসিরনগর ও রামুর মতো ঘটনার জন্ম দেয়। কেউ যাতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন ধরণের সহিংস পরিস্থিতিরি জন্ম দিতে না পারে  সে জন্যই এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল। এছাড়া বর্তমানে পুলিশ তদন্ত করার পূর্বে মামলা নিচ্ছে না।  

 এদিকে পর্নোগ্রাফি প্রতিরোধে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কয়েকশো’ ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পর্নোগ্রাফি প্রতিরোধে দরকার সচেতনতা। এরজন্য দরকার শিক্ষার। তিনি আরও বলেন, আমাদের ছেলেরা নষ্ট হয়, আক্রান্ত হয় কেবল সচেতনার অভাবে। তাই যত সচেতনতা বাড়ানো যাবে, ততবেশি উপকারে আসবে ইন্টারনেট।

এদিকে বিশ্ব এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে প্রবেশ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রেনটি মিস করেছি; তবে চতুর্থ ট্রেনটি আর মিস করতে চাই না। এ চতুর্থ ট্রেনের নেতৃত্ব দিতে গেলে আমাদের দরকার দক্ষ জনশক্তি। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে না পারলে এ চতুর্থ ট্রেনটিও আমরা মিস করবো। তবে আশার কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ইতোমধ্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ট্রেনে উঠেছি। এখন দরকার সামনে এগিয়ে যাওয়া।”

বাংলাদেশে তৈরি কম্পিউটার এখন নেপাল, ভূটানে রপ্তানি করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা বেশ কয়েকটি দেশে বেসরকারি পর্যায়ে কম্পিউটার রপ্তানি করছি। বেসরকারি পর্যায়ে রপ্তানি সম্ভব হলে, তাহলে সরকারি পর্যায়ে কেন হবে না? আমাদের ছেলেরা জাপানে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। তাই আমি মনে করি, আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করলে শিগগিরই সরকারি ভাবেও আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাবো”

 এদিকে ব্যান্ডউইথের দাম কমানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রীত্ব নেওয়ার পর আমার প্রথম দায়িত্ব হলো যে করেই হোক ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো। পাশাপাশি এর দাম কমানোও আমার প্রথম লক্ষ্য। শুধু তাই নয়, ইন্টারনেটকে জনগণের পঞ্চম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মেক্সিকোতে ইন্টারনেটকে জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই একবছরে চেষ্টা করবো ইন্টারনেটকে জনগনের দৌরগোড়ায় কিভাবে পৌছে দেওয়া যায়।

 

এমজে/

 

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি