পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
একটি মহল অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে
প্রকাশিত : ১০:০৮, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২১:২৪, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে অরাজকতা ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি মহল অরাজক পরিস্থিতি সৃ্ষ্টির চেষ্টা করছে দাবি করে, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগকে তা দমাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম। সেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি বজায় রাখতে ছাত্রলীগকে এ নির্দেশ দেয় মূল সংগঠন আওয়ামী লীগ।
জানা গেছে,আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে এ বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকার বিভিন্ন শাখা ছাত্রলীগের নেতারা তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।
বৈঠকে ঢাকার সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার ফলে সৃষ্ট পক্ষ-বিপক্ষের আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় ভাঙচুর এবং তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে ছাত্রনেতাদের বক্তব্য শোনেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। ২৩ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ঘটনাটি পরিকল্পিত।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা আওয়ামী লীগের কাছে অভিযোগ করেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে `তথাকথিত আন্দোলনের` নামে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই এই আন্দোলন করছে কতিপয় বাম ছাত্রসংগঠন। তারা আসলে নির্বাচনী পরিবেশ ঘোলা করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তারা।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম সাংবাদিকদের বলেন, `আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বসেছিলাম। তাঁদের বক্তব্য শুনেছি। আমরা নির্দেশ দিয়েছি, কারও উসকানিতে কান না দিতে। কারণ, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানামুখী ষড়যন্ত্র হতে পারে। তাই ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতির পাঁয়তারা হতে পারে।`
এসময় তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনায় যদি ছাত্রলীগেরও কেউ জড়িত থাকে, তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ছাত্রী নিপীড়নে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কারের দাবিসহ চার দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের ফটক ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের হঠিয়ে উপাচার্যকে ‘উদ্ধার’ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তির ঘটনায়র অন্তত ৪০ জন আহত হন।
এমজে/
আরও পড়ুন