ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
প্রকাশিত : ১৭:০৮, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৭:০৯, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমাননা, সাধারণ মানুষের মানহানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সরকারের গোপন নথি ফাঁস, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি, কম্পিউটার হ্যাকিং, জনমনে উত্তেজনা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অপরাধকে ‘আমলযোগ্য’ এবং ‘জামিন-অযোগ্য’ হিসেবে নিয়ে নতুন এ আইনে বিচার করা হবে।
আর এসব অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড অথবা এক কোটি টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে এই খসড়া আইনে।
একই সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৪,৫৫,৫৬,৫৭ ও ৬৬ ধারা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলোর পরিবর্তে নতুন কয়েকটি ধারা এই আইনে সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করে ক্ষতিসাধন করলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
নতুন এই আইনে সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হবেন কি না অথবা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় তা কোন বাধাঁ সৃষ্টি করবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, “নতুন এই আইনে সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয় নি”।
পাশাপাশি ৫৭ ধারায় চলমান মামলাগুলো যথানিয়মে চলবে বলেও জানান মন্ত্রী পরিষদ সচিব।
এছাড়াও খসড়া আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ২০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ড দেওয়া যাবে। কারো মানহানি করলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, ৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অতি গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ, প্রকাশ বা গুপ্তচরবৃত্তি করলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে বলেও জানান সচিব।
//এস এইচ এস// এআর
আরও পড়ুন