গঠনতন্ত্র নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে বিএনপি
প্রকাশিত : ২১:৩৩, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

গঠনতন্ত্র থেকে ৭(ঘ) ধারা বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া সংশোধিত গঠনতন্ত্র নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে বিএনপি।ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনীতিকরা বলছেন, দলে দুর্নীতিবাজদের জায়গা করে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত বিএনপি’র।
রোববার সংশোধিত এ গঠনতন্ত্র একটি প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে পাঠায় দলটি। সংশোধনের আগে বিএনপি’র গঠনতন্ত্রের ৭(ঘ) ধারায় বলা ছিল যে, ‘সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত কোনও ব্যক্তি দলের যে কোনও পর্যায়ে কমিটির সদস্য বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’
নতুন গঠনতন্ত্রে এই ধারাটি গঠনতন্ত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের ভাষ্য, গঠনতন্ত্র থেকে ৭(ঘ) ধারাটি বাদ দিয়ে বিএনপি আবারও প্রমাণ করল যে তারা একটি দুর্নীতিপরায়ণ দল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে সাজা হতে পারে খালেদা জিয়ার। আর সেসময় লন্ডন থেকে তারেক রহমান যেন দলের হাল ধরতে পারেন সেজন্যই গঠনতন্ত্রে এমন পরিবর্তন।
তবে বিএনপি’র এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না বলে মনে করে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, যে ধারাটি বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র থেকে বাদ দিয়েছে সেইরকম একটি বিষয় গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে সংযুক্ত হয়েছে। যে কারণে দুর্নীতিপরায়ণ হিসেবে যেসব ব্যক্তিবর্গ চিহ্নিত আছেন তারা এমনিতেই সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া ধরেই নিয়েছেন যে, ৮ ফেব্রুয়ারী তার সাজা হবে। আর ৭ ধারা অনুযায়ী তিনি বিএনপি করার সুযোগ হারাবেন। এই সুযোগে সরকার বিএনপি ভাঙবে। তাই তারা রাতারাতি গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে। তাদের মনের জোর কত দুর্বল এ থেকে বুঝা যায়।
অন্যদিকে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপি একটি সংশোধনী গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছে। তবে তাতে বিস্তারিত কী আছে তা এখনও দেখা হয়নি আমাদের। পর্যালোচনা করে পরে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।’
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন