বিচারকদের সবচেয়ে বড় শক্তি সততা : প্রধান বিচারপতি
প্রকাশিত : ১৩:৪৯, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৫৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘বিচারকদের সবচেয়ে বড় শক্তি সততা। তাঁর জবাবদিহির জায়গা হচ্ছে নিজের বিবেক। সংবিধান ও দেশের আইন তাঁর একমাত্র অনুসরণীয়। শপথকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে কারও প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে বিচারকাজ পরিচালনা করা হবে তাঁর দায়িত্ব। বিচারক যদি শুধু তাঁর শপথ অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করেন, তাহলে তাঁর জন্য আলাদা অনুসরণীয় আচরণবিধির প্রয়োজন হয় না।’
রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে নিজের কার্যালয়ে এলে সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে কর্মকর্তারা প্রধান বিচারপতিকে অভ্যর্থনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর প্রথা অনুসারে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির এজলাস কক্ষে প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয় অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
এ সময় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। শুরুতেই সংবর্ধনা দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদিন। সংবর্ধনার জবাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট যেন সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে থেকে সংবিধান অনুযায়ী তাঁর নিজ দায়িত্ব পালন করেন, সেটিও আমি নিশ্চিত করতে চেষ্টা করব। আমাদের এমনভাবে আদালতের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে হবে যেন আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে শক্তিমান-দুর্বল, ধনী-গরিব, সকলের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মে যে তাঁরা সকলেই সমান এবং আদালতের কাছ থেকে শুধু আইন অনুযায়ী তাঁরা ন্যায়বিচার পাবেন। এতে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস দৃঢ় হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের বড় সমস্যা মামলার জট। এই সমস্যা সমাধানে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘একটি দেশ উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে পারে আইন, নির্বাহী ও বিচার বিভাগ অর্থাৎ রাষ্ট্রের এই তিনটি অঙ্গের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে। যেখানে এই তিনটি অঙ্গের ও কাজের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকে সেখানে উন্নয়ন ব্যাহত হয়।’
বিচারে ডিজিটাল প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু এবং ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি করে সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন এর পথে অগ্রসর হতে হবে। ডিজিটাইজেশনের জন্য যে পরিবর্তন হবে বারকেও সেটা স্বাগত জানাতে হবে এবং তার বিরোধিতা না করে তার সঙ্গে অভ্যস্থ হতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় সরকারের নিরন্তর সহযোগিতাও একান্তভাবে কাম্য।
এসএ/
আরও পড়ুন