ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫

‘সামাজিক মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের প্রতি পরামর্শ’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:১৫, ১০ এপ্রিল ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আশ্বাসের পর আন্দোলন থেকে সরে গেলেও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও অর্থমন্ত্রীর ‘বেফাঁস’ মন্তব্যের পর ফের আন্দোলন শুরু করেছে চাকুরি প্রত্যাশীরা। আজ বিকাল থেকে আবারও রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলন শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। এর আগে গতকাল অবস্থান ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণার পরই বিভক্তি দেখা দেয় আন্দোলনকারীদের মধ্যে। তবে বিভেদ ভুলে আবারও একসঙ্গে আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। এরইমধ্যে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একটি অংশ ষড়যন্ত্র করছে জানিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতি একটি দিক নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিষদ।

আন্দোলনকারীদের বারবার বলা হচ্ছে, তারা যাতে কোনো ধরণের সহিংসতায় না জড়ায়। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করা বলা হয়েছে, মনে রাখতে হবে এটা কোনো সরকারবিরোধী বা পতনের বা মন্ত্রীর পদত্যাগের আন্দোলন নয়। তাই আন্দোলন চলাকালে এসব বিষয় মাথায় রাখতে সবাইকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে প্লে কার্ড, ব্যানারে যাতে কোনো ধরণের উস্কানিমূলক কিছু লেখা না থাকে সে ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়েদের এক জায়গায় অবস্থান করার কথা বলা হয়েছে। বহিরাগতরা যাতে কোনোভাবেই অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে বিক্ষোভ-সমাবেশস্থলে কোনো ধরণের ধূমপান না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোন উল্টা-পাল্টা ব্যানার দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে ভলান্টিয়ারদের জানানোর জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে তাদের। এ ছাড়া বহিরাগতদের দ্বারা যাতে আন্দোলনকারীরা আক্রান্ত না হয় সে জন্য সবাইকে একসঙ্গে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিজের পরিচয়পত্র রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে আন্দোলনের জন্য জনগণের সাময়িক ভোগান্তি হচ্ছে জানিয়ে বলা হয়েছে, ফেসবুক পোস্টগুলোতে সাধারণ মানুষের কাছে বিনীতভাবে নিজেদের মাঠে নামার কারণ তুলে ধরুন। অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরিযান চলাচলে কোনো ধরণের বাধা আরোপ না করার জন্যও আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আন্দালনের পবিত্রতা রক্ষা করতে সবাইকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া দোকানপাট-যানবাহনসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদের কোনো ক্ষতি না করার আহ্বান জানাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। সর্বোপরি একটি অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে আনতে ফেসবুক প্রচারাভিযানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এদিকে আন্দোলনে জন মানুষের সম্পৃক্ততা আছে জানিয়ে বলা হচ্ছে, আন্দোলন দেশের শিক্ষার্থীর এক যোগে কাজ করছেন। শিক্ষক সমাজ, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আছেন। তবে মনে রাখতে হবে, কোনো ধরণের সহিংসতা কিংবা বিশৃঙ্খলা আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে পারে।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি