ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
৯টি ধারা বাতিলের দাবি টিআইবির
প্রকাশিত : ২১:৫৫, ২ মে ২০১৮

গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে মুক্ত পরিবেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার চর্চা অব্যাহত রাখতে পারে এ জন্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর নয়টি ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বুধবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে টিআইবি এ দাবি জানায়।
বিবৃতিতে সংগঠনটি প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-এর ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৮ ধারা পুর্নবিবেচনা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। একই সাথে খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অগ্রসর হওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটির প্রতিও আহবান জানায় টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিকের বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি। ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত হলে শুধু মত প্রকাশের ক্ষেত্রেই নয়, গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি দেশের নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সংবিধান মত প্রকাশের যে স্বাধীনতা দিয়েছে তা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার কাছে ‘অসহায়’। বিবৃতিতে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীসহ মূল ধারার গণমাধ্যমকর্মীদের অভূতপূর্ব ভীতি ও ভীতিপ্রসূত স্বআরোপিত সেন্সরশিপ চাপিয়ে দিয়েছে। এটি বাক-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীন দায়িত্ব পালনের প্রধান অন্তরায়।
তিনি বলেন, তদুপরি প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা প্রয়োজনীয় সংশোধন ছাড়া প্রণীত হলে সার্বিকভাবে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের সম্ভাবনা ধুলিস্যাৎ হবার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।
ধারাগুলো সংশোধন না করেই সংসদে উত্থাপন করাকে ‘হতাশাজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, এ আইনের ফলে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতিসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য প্রকাশ যেমন অসম্ভব হয়ে পড়বে, তেমনি এসব অপরাধের অধিকতর বিস্তৃতি ঘটাবে।
আর/টিকে
আরও পড়ুন