মাস্ক কেলেঙ্কারি, জেএমআই’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ
প্রকাশিত : ১৫:২৬, ১০ মে ২০২০

রাজধানীর মুদগা হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে এন নাইনটি ফাইভ (N-95) মাস্কের মোড়কে নিম্নমানের সার্জিক্যাল মাস্ক সরবরাহের দায়ে ওষুধ কোম্পানী জেএমআই-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। এর সাথে মন্ত্রণালয় এবং বাইরের আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে বলেছে কমিটি।
এদিকে, তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, এন নাইনটি ফাইভ মাস্ক কেলেঙ্কারি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে দুদকও।
জানা যায়, প্যাকেটের গায়ে লেখা এন-নাইনটি ফাইভ। কিন্তু, ভেতরে সাধারণ মাস্ক। সার্জিক্যাল মাস্ক-এর চেয়েও নিম্ন মানের। মার্চের শুরুতে এমন উপকরণ নিয়েই করোনা যুদ্ধে নামতে হয়েছিল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।
গত ১ এপ্রিল রাজধানীর মুদগা হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নোয়াখালীর আড়াইশ শয্যার হাসপাতালসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে নয়-ছয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এন-নাইনট্টি ফাইভ মাস্ক শুধু মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রে তৈরী হয়। করোনা সংকটে রফতানি বন্ধ। কিন্তু, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জেএমআই-এর কারখানায় তৈরি মাস্কের মোড়কে এন নাইনটি ফাইভ লেভেল লাগিয়ে সরবরাহ করা হয় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে। এ ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃতে গঠিত কমিটি খুঁজে পেয়েছে অনিয়ম।
এ বিষয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমি তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছি, যাদের বিরুদ্ধে গাফেলতি অথবা দোষ পাওয়া যাবে, তাদের বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিগগিরই হয়তো সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
এদিকে, যে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা, তারা বলছে এটি নিছকই ভূল বুঝাবুঝি। দুর্নীতি দমন কমিশনও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। দুর্নীতিবাজ কেউই পার পাবে না বলে জানিয়েছে দুদক।
এনএস/
ভিডিওতে দেখুন-
আরও পড়ুন