তাপপ্রবাহ অব্যাহত; অতিষ্ঠ জনজীবন

বৈশাখে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ জ্যৈষ্ঠেও অব্যাহত রয়েছে। মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, পাবনা এবং পটুয়াখালী অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। বিশেষকরে দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে থেকেও তাপপ্রবাহের কারনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রাজধানীবাসী। 

তকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন নেত্রকোনায় ২১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নেত্রকোনায় ৪৭ মিলিমিটার। শুক্রবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভারে কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

আবহাওয়ার সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামা সগার এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘনীভূত (উত্তর অক্ষাংশ ১১.২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ ৮৬.৫ ডিগ্রি) দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। পশ্চিম লঘুচাপে বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। 

গতকাল সন্ধ্যা থেকে ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ ধেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যা অস্থায়ীভাবে দমকা হওয়ায় রূপ নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাবে। সন্ধ্যায় ঢাকার বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৫ শতাংশ। আজ রোববার ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে। 

এমএস/