ঢাকা, মঙ্গলবার   ১১ নভেম্বর ২০২৫

শিরক সম্পর্কে কুরআন ও হাদিস

প্রকাশিত : ১২:৩৯, ১৫ মে ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

শিরক হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার মানা, আল্লাহর অস্তিত্ব ও গুণরাজিকে কাউকে শরীক করে নেয়া। প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ বিভিন্নভাবে খোদার খোদায়ীত্বে শরীক বানিয়েছে। মানুষ কখনও একাধিক খোদা বানিয়েছে। কখনও খোদাকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করেছে। আবার কখনও বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি ও বস্তুকে খোদা বানিয়েছে। কখনও নিজেরাই মূর্তি তৈরি করে তার পূঁজা করেছে। আবার কখনও কখনও শক্তিশালী মানুষকে খোদার মর্যাদা দিয়েছে।

শিরক সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন- ‘আল্লাহর সঙ্গে শরীক করো না। নিশ্চিত জেনে রেখো শিরক হচ্ছে অতি বড় জুলুম।’ (লুকমান ১৩)

‘নিশ্চয় জেনো, আল্লাহর সঙ্গে শরীক বানানোর যে পাপ তা তিনি ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্য যে কোন পাপ তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেবেন। বস্তুত যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শরীক করে, সে তো উদ্ভাবন করে নিয়েছে এক গুরুতর মিথ্যা।’ (নিসা ৪৮)

‘আল্লাহ তো একমাত্র ইলাহ। সন্তানাদি থেকে তিনি সম্পূর্ণ পবিত্র। আসমান ও যমিনে যা কিছু আছে সবই তো তাঁর।’ (নিসা ১৭১)

‘যে আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকেও ডাকে। তার সমর্থনে তার হাতে কোন দলিল প্রমাণ নেই। তার হিসাব-নিকাশ হবে আল্লাহর নিকট। এ ধরনের কাফেররা কিছুতেই কল্যাণ ও সফলতা লাভ করতে পারে না।’ (মুমিনুন ১১৭)

‘লোকেরা তাঁর কতিপয় বান্দাকে তাঁর অংশ মনে করে নিয়েছে। প্রকৃত কথা এই যে, মানুষ সুস্পষ্টরূপে অকৃতজ্ঞ।’ (যুখরুফ ১৫)

‘তিনি তো আসমান ও যমিনের উদ্ভাবক। কি করে তাঁর সন্তান হতে পারে অথচ তার তো জীবন সঙ্গিনিই কেউ নেই? তিনি সব জিনিস সৃষ্টি করেছেন।’ (আনআম ১০১)

‘তোমরা কেবলমাত্র আল্লাহরই দাসত্ব ও ইবাদত করো। আর অন্য কোন কিছুকেই তাঁর সঙ্গে শরীক করো না।’ (নিসা ৩৬)

‘অতএব যে ব্যক্তি তার রবের সঙ্গে সাক্ষাত লাভের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে সে যেন নিষ্ঠার সঙ্গে সৎকর্ম সম্পাদন করতে থাকে আর তার রবের দাসত্ব, ইবাদ-বন্দেগিতে যেন অপর কাউকেও শরীক না করে।’ (কাহাফ ১১০)

শিরক সম্পর্কে হাদীস : হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী করীম (সা.) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, সে তাঁর সঙ্গে শিরক করে না, সে অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করবে। আর যে তাঁর সঙ্গে শিরক করা অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে, সে জাহান্নামে যাবে।’ (মুসলিম)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, কবীরা গোনাহ হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, কাউকে হত্যা করা ও মিথ্যা শপথ করা। (বুখারী)

হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক পাপ হতে বিরত থাকবে। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে সাতটি পাপ কি কি? তিনি বললেন, এগুলো হল- আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করা, যাদু করা, শরীয়তের অনুমোদন ব্যতিরেকে কাউকে হত্যা করা, সুদ খাওয়া, এতিমের মাল আত্মসাৎ করা, জিহাদের ময়দান হতে পলায়ন করা এবং অচেতন পবিত্র ঈমানদার মহিলাদের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মিথ্যা অভিযোগ আনা। (বুখারী-মুসলিম)

(কুরআন ও হাদীস সঞ্চয়ন গ্রন্থ)

এএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি