ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৫

অনুমতি ছাড়াই বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ : ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১২, ১৭ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৩৪, ১৭ এপ্রিল ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই মুখের স্বীকৃতি প্রযুক্তি ব্যবহার করায় আদালতের মুখোমুখি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ার আদালত এ সংক্রান্ত একটি রুল জারি করেছেন।

মামলায় বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের স্পষ্ট সম্মতি ছাড়াই বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করেছে ফেসবুক।

ফেসবুক একটি ‘ট্যাগ প্রস্তাবনা’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা আপলোড করা ছবিগুলিতে ব্যবহারকারীদের বন্ধুদের চিহ্নিত করে দেয়। মামলাটিতে বলা হয়েছে, এটি ইলিনয় রাজ্যের আইন ভঙ্গ করে।

ফেসবুক বলছে, এ মামলার কোনও যৌক্তিকতা নেই। তাই এটির বিরুদ্ধে জোরালোভাবে লড়ে যাবে ফেসবুক।

বিচারক ডোনাটো তার আদেশে লিখেছেন, ফেসবুক বিশ্বাস করে... বিধিবদ্ধ ক্ষতির পরিমাণ কোটি কোটি ডলার হতে পারে।

বিচারক ডানোটো তার রুলে, এ প্রযুক্তির পেছনে চার ধাপ প্রক্রিয়ার কথা বলেন।

১. প্রাথমিকভাবে, সফ্টওয়্যার একটি আপলোড করা ফটোতে কোনও মুখ সনাক্ত করার চেষ্টা করে।

২. এটি আকার এবং দিকনির্দেশনার জন্য তাদের মান এবং সংকলন করে থাকে।

৩. তারপর, প্রতিটি মুখের জন্য, ফেসবুক একটি মুখ স্বাক্ষর নির্ণয় করে, যে ছবির মধ্যে মুখের একটি গাণিতিক উপস্থাপনা থাকে।

৪. তারপর মুখ স্বাক্ষর অনুরূপ ম্যাচ করার জন্য ব্যবহারকারীর মুখ টেমপ্লেট একটি সংরক্ষিত ডাটাবেসের মাধ্যমে চালানো হয়।

ফেসবুকের সাহায্য পাতায়, ফেসবুকের মুখোমুখি টেমপ্লেটগুলি যেকোনও ছবির মধ্যে মিলিত হয়েছে এমন তথ্য থেকে তৈরি করা হয়।

অবশ্য ফেসবুক বলছে, ‘যদি আপনি ফেসবুকের কোনও ফটোতে কখনও ট্যাগ না করেন বা ফেসবুকের সব ফটোতে নিজেকে যুক্ত না করেন, তাহলে আপনাকে আমরা আপনার এই সংক্ষিপ্ত তথ্য দেবো না’।

এই বৈশিষ্ট্যটি যুক্তরাজ্যসহ অধিকাংশ দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য পর্যাপ্ত না। এছাড়া মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য সেটিংস বন্ধ করা যেতে পারে বলে বলছে সংস্থাটি।

সূত্র: বিবিসি

একে// এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি