ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

অস্থিরতা বাড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে

প্রকাশিত : ২২:২৩, ১৮ মে ২০১৯

(ফাইল ফটো)

(ফাইল ফটো)

সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাত্রতিরিক্ত আসক্তির কারণে সমাজে অস্থিরতা বেড়েছে। দিন দিন খুব বেশি সময় মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুদ থাকার কারণে এ অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন মনোবিজ্ঞানীরা। ফেসবুকের কারণে অল্প বয়সী ছেলে-মেয়ে থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবকদের মধ্যেও তৈরি হচ্ছে মানসিক চাপ। ‘সোশাল মিডিয়ার কারণে বিশেষ করে পরিবারের ভেতরেও নানা রকমের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’ বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মনোবিজ্ঞানী মেহতাব খানম। তার কাছে অনেকেই কাউন্সেলিংয়ের জন্য আসছেন বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মা-বাবারা তাদের সন্তানদের নিয়ে চিন্তত।

তিনি বলেন, ‘রাতের পর রাত জেগে বাচ্চারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকছে, পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে, সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। বাবা-মায়েরা বুঝতে পারছেন না কিভাবে সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রেখে সহায়তা করবেন।’

তবে সন্তানরা মনে করছে অভিভাবকদের কারণে তার বেড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান মেহতাব খানম। সন্তানরা বলছে, তারা পড়াশোনার ওপরই বেশি জোর দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটে পড়ালেখার কাজও দেওয়া হয়। কিন্তু বাবা-মায়েরা বুঝতে চায় না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে মানসিক চাপ বাড়ার বিষয়ে মেহতাব খানম বলেন, ‘বর্তমানে সম্পর্কগুলো দ্রুত হয়ে যাচ্ছে । সহজেই একজনের সঙ্গে আরেকজনের যোগাযোগ হচ্ছে। একারণে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, একাধিক সম্পর্ক-এসবও বেড়ে যাচ্ছে অনেক।’ অনেক সময় ফেসবুকে এমন কিছু দেখছে যা তাদের ওপর প্রভাব ফেলছে, হতাশও হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মেহতাব খানম।

মাদকের চেয়েও ক্ষতিকর হয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগে আসক্তির বিষয়টি। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত মনোবিজ্ঞানীরা। তার বলছেন, বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। ড্রাগ যখন নেয় একা বা কয়েকজনের সঙ্গে নেয়। কিন্তু কেউ যখন অন্য একজন বা একাধিক মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক করছে তখন অনেকগুলো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তবে এমন অবস্থায়ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করার বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন মেহতাব খানম। তিনি বলেন, ‘বন্ধ করা সমাধান নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়ে আমরা যথেষ্ট শিক্ষা গ্রহণের আগেই সব কিছু হাতের মুঠোয় চলে আসছে। দায়িত্বশীল ব্যবহার করতে পারছিনা এটির। ওখানে অজস্র টাইম দেওয়ার কারণে অন্য সব কিছুতে প্রভাব ফেলছে। আমার মাথা ওটাতেই ব্যস্ত থাকছে।’ মানসিক চাপ কমাতে যথাযথ শিক্ষার পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতনতা দরকার।

স্কুলগুলোতে ‘প্যারেন্টিং কর্মসূচি ’আরও জোরদার করতে হবে। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন এ মনোবিজ্ঞানী।

 

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা।

এমএস/ এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি