ঢাকা, রবিবার   ১৮ মে ২০২৫

অসৎ উদ্দেশ্যে জামিন দিয়েছিলেন কামরুন্নাহার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৬, ২৫ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১২:২৭, ২৫ নভেম্বর ২০২১

Ekushey Television Ltd.

স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বুধবার রাতে ছয় পৃষ্ঠার এ আদেশ প্রকাশ করা হয়।

লিখিত আদেশে আপিল বিভাগ বলেন, স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে অসৎ উদ্দেশে জামিন দিয়েছিলেন বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। সংবিধান অনুযায়ী তাঁর বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের কোনো আদালতেই তিনি ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না। তিনি ফৌজদারি মামলা পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নন।

গত ২২ নভেম্বর স্থগিতাদেশ থাকার পরও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সম্প্রতি রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় পাঁচ আসামির সবাইকে খালাসের রায়ে ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন্নাহারের এখতিয়ারবহির্ভূত পর্যবেক্ষণ বিতর্কের জন্ম দেয়।

মৌখিক ওই পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর পুলিশ যেন মামলা না নেয়। তবে লিখিত রায়ে সে বিষয়টি তিনি রাখেননি।   

এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত ১৪ নভেম্বর কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতাসাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে আর আদালতে না বসার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। আদালত থেকে প্রত্যাহার করে তাকে পাঠানো হয়েছিল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে।

তখন জানা যায়, স্থগিতাদেশ থাকার পরও হাতিরঝিল থানার ২০১৮ সালের এক ধর্ষণের মামলায় আসলাম শিকদার নামের এক আসামিকে জামিন দিয়েছিলেন বিচারক কামরুন্নাহার। কোন এখতিয়ার বা ক্ষমতাবলে ওই আসামিকে তিনি জামিন দিয়েছিলেন, সে ব্যাখ্যাও জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি