ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

আইনমন্ত্রীর নামে অপপ্রচারে ৫৭ ধারায় ৭ মামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৯, ১ মে ২০১৮

ফেসবুকের আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়ছার ভূইয়া জীবনের নামে অপপ্রচারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় অওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ৭টি মামলা রুজু করা হয়েছে।

এসব মামলার কোনোটিতে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শ্যামল কুমার রায়সহ তাদের অনুসারীদের আসামি করা হয়েছে। আবার কোনোটিতে অজ্ঞাতদের আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা একটি মামলার বাদী কসবা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, “ক্রস ফায়ার, ‘জাগ্রত জনতা’, ‘জয় হাসান’, ‘সৈয়দ মহসিন’সহ মোট ৩৬টি ফেসবুক আইডি থেকে আমাদের নেতা আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও উনার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়ছার ভূইয়া জীবনের বিরুদ্ধে অশ্লিল ভাষায় নিয়মিত কুৎসা রটানো হচ্ছে। এসব আইডি থেকে কখনও কখনও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়েও কুৎসিত ভাষায় কথাবার্তা লিখা হচ্ছে। আবার এসব  আইডি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহ আলম ও যুবলীগ নেতা শ্যামল রায়ের পক্ষে বিভিন্ন লেখা আসে। আমরা মনে করি এসবের পেছনে তাদের যোগসাজশ আছে। এটা তাদের অপকর্ম। তবে আমি আমার মামলায় কারোর নাম সরাসরি উল্লেখ করিনি। পুলিশি তদন্তে প্রকৃত দোষীরা বের হয়ে আসবে বলে আমি মনে করি।’

এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এমজে হাক্কানী বলেন, ‘নামে বে-নামে ফেসবুকের একাধিক ফেক আইডি থেকে আমাদের আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও উনার ব্যক্তিগত সহকারী কসবা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়ছার ভূইয়া জীবনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কুৎসা রটানো হচ্ছে। এসব ঘটনার সঙ্গে কসবা-আখাউড়ার আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সংসদ মোহাম্মদ শাহ আলম এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শ্যামল কুমার রায়সহ তাদের অনুসারীরা জড়িত বলে আমরা মনে করি। এসব ফেক আইডির মাধ্যমে আমাদের কসবা-আখাউড়ার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার একটা অপ-প্রয়াস। এ ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে একাধিক মামলা হয়েছে। আমি দোষীদের গ্রেফতারের দাবি করছি।’

কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, ‘এগুলো করছে সাবেক সদস্য সংসদ মোহাম্মদ শাহ আলম ও তার অনুসারীরা। তারা ভেবেছিল আমাদের আইনমন্ত্রীকে ব্যবহার করে তারা এলাকায় দালালী বাটপারি করবে। কিন্তু মন্ত্রী  দালাল বাটপার পছন্দ করেন না। বিধায় তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে কুৎসা রটাচ্ছেন। যার কারণে কসবা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সোচ্চার হয়ে মানববন্ধন এবং তাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করছেন। আমরা দোষীদের গ্রেফতার চাই।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, ‘ফেস বুকে কুৎসা রটানো হচ্ছে। এটা সত্য। তবে কে কারা এর সঙ্গে জড়িত আমরা তা এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারছি না। আমরা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনে করি, প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা উচিৎ।’

এ ব্যাপারে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শ্যামল কুমার রায়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মামলা সর্ম্পকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা-আখাউড়া পুলিশের সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম বলেন, ‘গত বুধ ও বৃহস্পতিবার পৃথকভাবে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মোট ৭টি মামলা হয়। এসব মামলায় কোনোটিতে সাবেক সদস্য সংসদ মোহাম্মদ শাহ আলম এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শ্যামল কুমার রায়সহ তাদের অনুসারীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আবার কোনোটিতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। পরে আমরা এ মামলাগুলো অনুমোদনের জন্যে পুলিশ সদর দফতরে পাঠাই। সেখান থেকে অনুমোদনের পর মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়। বর্তমানে মামলাগুলো তদন্তের জন্যে সিআইডি’র বিশেষজ্ঞদের কছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তথ্য আসলে মামলার পরবর্তী আপডেট জানা যাবে।’

 

টিআর/এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি