ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

আপন জুয়েলার্সের মালিকদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৫, ৬ নভেম্বর ২০১৭

আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মুদ্রা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় সোমবার একদিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাদের মামলার তদন্ত শেষে না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী আসামি দিলদার ও ঢাকা মহানগর হাকিম দেব্রবত বিশ্বাস আসামি গুলজার আহমেদ এবং আজাদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ২ নভেম্বর ঢাকার পৃথক দুটি আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ওইদিন তাদের তিনজনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে শুল্ক গোয়েন্দা। এ সময় রমনা থানার মামলায় দিলদারের বিরুদ্ধে তিনদিনের এবং অপর দুই ভাই গুলজার ও আজাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানার পৃথক দুই মামলায় তিনদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী আসামি দিলদারের একদিন এবং ঢাকা মহানগর হাকিম একেএম মাঈন উদ্দিন সিদ্দিকী আসামি গুলজার ও আজাদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চোরাচালানের মাধ্যমে আনা প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও হীরা জব্দের ঘটনায় এবং এসব মূল্যবান ধাতু কর নথিতে অপ্রদর্শিত ও গোপন রাখার দায়ে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে গত ১২ আগস্ট মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা।

এর মধ্যে গুলশান থানায় দুটি (মামলা নং- ১৫ ও ১৬), ধানমন্ডি থানায় একটি (মামলা নং- ১০), রমনা থানায় একটি (মামলা নং- ২৭) এবং উত্তরা থানায় একটি (মামলা নং- ১৭) ফৌজদারি মামলা করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দার পাঁচ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে এম আর জামান বাঁধন, বিজয় কুমার রায়, মো. শাহরিয়ার মাহমুদ, মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের তিনজন যথাক্রমে দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদ।

আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদের অভিযোগে কাস্টমস অ্যাক্ট- ১৯৬৯ অনুযায়ী কাস্টম হাউস ঢাকায় আরও পাঁচটি কাস্টমস মামলা বিচারাধীন।

এ ছাড়া স্বর্ণালঙ্কার মজুদ, মেরামত, তৈরি, বিক্রয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘটিত ভ্যাট ফাঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটগুলো কাজ করছে। আয়কর নথিতে অপ্রদর্শিত স্বর্ণ দেখানোর কারণে সংশ্লিষ্ট আয়কর জোনের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বনানীতে একটি জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত ও তার সহযোগীরা। এমন অভিযোগ ওঠার পর আলোচায় আসে আপন জুয়েলার্সের দুর্নীতি। এরপরই মামলা দায়ের হতে থাকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি