ঢাকা, রবিবার   ২২ জুন ২০২৫

আবারও স্কুলে যেতে চায় তামিম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৪, ২২ জুন ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

তামিম ইসলাম। বয়স মাত্র সাত। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তবে বর্তমানে তার হাতে এখন বই বা পেনসিল নয়, থাকে স্যালাইনের টিউব। দৌড়ানোর মাঠ নয়, তার চারপাশজুড়ে হাসপাতালের সাদা দেয়াল। সাত বছরের তামিম ইসলাম যখন জানালায় চোখ রেখে সহপাঠীদের স্কুলে যেতে দেখে, তখন তার ছোট্ট মন বলে—‘আমি আবার কবে স্কুলে যাব, মা?’

দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছে ছোট্ট তামিম। হাসপাতালে ছুটোছুটি, ইনজেকশন আর কেমোথেরাপি এখন তার নিত্যসঙ্গী। বইয়ের ব্যাগ নয়, তার পাশে পড়ে থাকে মেডিকেল রিপোর্ট আর ওষুধের প্যাকেট। জীবন যেন হঠাৎ করেই থেমে গেছে এক শিশুর জন্য, যে কেবল বাঁচতে চায়।

অন্য সবার মতো ওরও স্বপ্ন ছিল—স্কুলের মাঠে ছুটে বেড়াবে, বন্ধুদের সঙ্গে খেলবে, পড়বে, হাসবে। কিন্তু সে স্বপ্নে হঠাৎ ছেদ টেনে দিয়েছে এক নিষ্ঠুর অসুখ—ক্যান্সার।

তামিমের বাবা সোহেল রানা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। দিনের আলো ফোটার আগেই কাজে বেরিয়ে পড়েন তিনি—দু’বেলা খাবার আর ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়ার তাগিদে। ইতোমধ্যে ছেলের চিকিৎসায় প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার দরকার, কিন্তু সেই ব্যয় বহন করার মতো সামর্থ্য নেই তার পরিবারের।

তামিমের মা সারাদিন ছেলের পাশ থেকে সরেন না। ছোট্ট ছেলের কষ্ট তার চোখে পানি এনে দেয় প্রতিটি মুহূর্তে। মা বলেন, “ও শুধু বলে—‘মা, আমি আবার স্কুলে যাবো কবে?’ আমি উত্তর দিতে পারি না।”

তামিমের বাড়ি সুলতানপুর গ্রামের মুচিপাড়া টাওয়ারের পাশে। স্কুলের পাশেই থাকে সে, কিন্তু এখন আর যেতে পারে না। ক্লাসরুমের শব্দ, বন্ধুদের চিৎকার, মাঠের খেলা—সবই এখন তার কাছে একান্ত দূরের কিছু।

সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বলেন, “তামিম খুব ভালো ছাত্র। ওর অসুস্থতার খবর আমরা সবাই জানি। পরিবারটি খুবই অসচ্ছল। চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে একা সম্ভব না। সমাজের সবাই মিলে এগিয়ে না এলে তামিমকে বাঁচানো কঠিন হয়ে যাবে।”

তামিম বাঁচতে চায়। বাঁচতে চায় সেই ছোট্ট স্বপ্নগুলোকে সঙ্গে নিয়ে। সে চায় আবার স্কুলে ফিরতে, দৌড়াতে, খেলতে আর হেসে উঠতে। এখন সময়—আমরা সবাই মিলে তামিমের পাশে দাঁড়াই। কারণ একটি শিশুর জীবন বাঁচাতে সামান্য সহানুভূতিই অনেক কিছু বদলে দিতে পারে।

সাহায্য পাঠানোর জন্য: তামিমের বাবা- 01320-986984 (বিকাশ)

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি