আমার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নাই: ড. ইউনূস
প্রকাশিত : ০৯:২২, ২৯ মে ২০২৫ | আপডেট: ১০:২২, ২৯ মে ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের একটিমাত্র রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবি করছে। ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন করলে সংস্কারে তাড়াহুড়ো হবে, ভালোভাবে সংস্কার করতে হলে আরও ৬ মাস সময় লাগবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাপানে নিক্কেই ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, আমি কোনো রাজনীতিবিদ না, আমার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নাই। নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে আমি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাই।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে চায়, তবে রাজনৈতিক দলগুলো যদি বেশি সংস্কার চায় তাহলে সর্বোচ্চ আগামী জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ কেবল একটি দলের; সবার নয়।
এদিকে গণতন্ত্রের মসৃণ রূপান্তরের লক্ষ্যে বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিক্কেই সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, মানুষের ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা এবং মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রে মসৃণ রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। একটি অস্থির বিশ্বে জনগণের ক্ষমতায়ন ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃত্ব আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এশিয়া এবং এর বাইরেও বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাতের সূত্রপাত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তি অধরা হয়ে উঠছে। যুদ্ধ এবং মানবসৃষ্ট সংঘাত ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করছে।
যুদ্ধে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের ফলে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে বা মৌলিক চাহিদার জন্য লড়াই করছে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ এক নৃশংস রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প এরমধ্যেই গভীর মানবিক সংকটকে আরও গভীর অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।
ড. ইউনূস আরও বলেন, অতি সম্প্রতি, বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য দুই দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই। দক্ষিণ এশিয়ায় অব্যাহত শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আশা করি। আন্তঃনির্ভরশীলতাকে দ্বন্দ্বে নয়, সহযোগিতায় রূপান্তর করা; ভাগ করে নেয়া সমৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করা, শূন্য-সমষ্টিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা-এশিয়ার দেশগুলোর উদ্দেশ্য।
এএইচ
আরও পড়ুন