চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়
আসামি সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রসিকিউটরের বক্তব্য ভুলভাবে উদ্ধৃত
প্রকাশিত : ২২:২১, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের চাকরি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর যে বক্তব্য দিয়েছেন তা গণমাধ্যমে ভুলভাবে উদ্ধৃত হয়েছে বলে দাবি করেছে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত একটি নথি ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের দেন প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান।
এতে বলা হয়, ‘সেনা সদর দপ্তর আইন প্রয়োগ না করা পর্যন্ত আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তা কর্মরত: প্রসিকিউটর’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। প্রতিবেদনে প্রসিকিউটরের বক্তব্যকে ভুলভাবে উদ্ধৃত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যার ফলে জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে পারে যে আইনটি এখনো প্রয়োগ হয়নি বা সেনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর আইনের প্রয়োগ নির্ভর করছে, যা বাস্তবতা ও আইনের ভাষার পরিপন্থি।
চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় বলছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ অন্য যেকোনো আইনের ওপর প্রাধান্য পাবে। প্রসিকিউটর শুধু ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াগত বিষয়টি ইঙ্গিত করেছিলেন, যা আইনের ব্যাখ্যা নয়।
অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করেছে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, কোনো আসামির বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি প্রজাতন্ত্রের কোনো চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়া এবং কোনো সরকারি পদে অধিষ্ঠিত থাকার ক্ষেত্রে যোগ্যতা হারাবেন।
এমন অবস্থায় আসামি সেনা কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত নাকি চাকরিরত বলা হবে- গত রোববার (২৬ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, ‘যেটা আইনে বলা আছে, সেটাই আইনের ব্যাখ্যা। এখন সেনা সদর দপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে, এই আইন কবে তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করবে। যতক্ষণ প্রয়োগ না করছে ততক্ষণ পর্যন্ত তো সার্ভিং (কর্মরত) বলাই যেতে পারে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর সেখানে থাকা চাকরিরত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাসে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বর্তমানে তারা সেনানিবাসে একটি উপ-কারাগারে আছেন।
এমআর//
আরও পড়ুন










