ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪

উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে নিত্যপণ্য কিনতেই হিমশিম অবস্থা পাকিস্তানে 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪০, ১ মে ২০২৪ | আপডেট: ১৮:০৪, ১৫ মে ২০২৪

পাকিস্তানে আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি ও তীব্র বেকারত্বের কারণে ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে সাধারণ মানুষের। ফলে প্রতিদিনের জরুরি চাহিদা মেটাতেই তারা এখন সংগ্রাম করছেন। এএনআই জানিয়েছে, লাহোর ও করাচির মত পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোর মানুষেরা হিমশিম খাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের একটি জিনিস কিনতে আরেকটিকে বাদ রাখতে হচ্ছে।

রশিদ নামে করাচির এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা আর মাংস কিনতে পারি না। এটার প্রশ্নই ওঠে না। মাংস বাদ দিন, আমরা যা উপার্জন করি তা দিয়ে পরিবারের জন্য শস্য, মসুর, চাল, ফল ও সবজি কিনতেও পারি না। আটার দামও বেশি, তাহলে খাওয়ার আর কী আছে?” তিনি বলেন, “দরিদ্রদের শেষ পর্যন্ত কিছুই নেই। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য অপরাধের দিকে ঝুঁকছে। কারণ তার কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। সবকিছুর দামই বেড়ে গেছে। মাংসের দাম বেশি। আমাদের কাছে এখন সরকারের কাছে অনুরোধ জানানোই একমাত্র বিকল্প যে, নিজেদের নিয়ে না ভেবে আমাদের নিয়েও একটু বেশি ভাবুন।”

নাজির আহমেদ নামে করাচির আরেক বাসিন্দা দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের চিত্র তুলে ধরে বিস্ময়কর মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানে মাংস আমাদের দৈনন্দিন খাবারেরই একটি অংশ। কিন্তু আমার মত সাধারণ শ্রমিক-শ্রেণির মানুষেরা তা কিনতে পারে না। সমস্ত জিনিসের উচ্চ মূল্যে এখন আমাদের নাগালের বাইরে। সরকারকে অন্তত এ বিষয়ে ভাবতে হবে। দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে। বিশ্বাস করি মূল্যস্ফীতি রোধের সর্বোত্তম উপায় হল দ্রুত পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করা। এটির দাম কমালেই প্রতিটি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমে যাবে।”


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি