ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

এক বছরেও শেষ হয়নি রেনু হত্যার তদন্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪০, ২০ জুলাই ২০২০

রাজধানীর বাড্ডায় প্রাইমারি স্কুল গেটে ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার এক বছর পার হলো। এখনও শেষ হয়নি মামলার তদন্ত। এ সুযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ১৪ আসামির ৫ জনই জামিনে বের হয়ে গেছেন। ফলে বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রেনুর পরিবার।

গত বছরের ২০ জুলাই সন্তানকে ভর্তি করার খোঁজখবর নিতে গিয়ে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত হন রেনু।  এ ঘটনায় অজ্ঞাত পাঁচশ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। পরে বাদী বাড্ডা সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ বেগমসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও আসামি করতে চেয়ে আদালতে সম্পূরক এজাহার দাখিল করেন। পরে আদালত তদন্তের নির্দেশ দেন।

এদিকে মামলার পর প্রথমে বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক প্রায় ৫ মাস তদন্ত করেন। তিনি ১৪ জন আসামি গ্রেপ্তার করেন। এর মধ্যে ৩ জন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। কিন্তু প্রায় সাত মাস আগে মামলার তদন্তের ভার ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

মামলা সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। শর্ট টাইম ২/১ মাসের মধ্যে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করবো।

মামলার বাদী নাসির উদ্দিন টিটু বলেন, খালাকে হারিয়েছি এক বছর হয়ে গেছে। কিন্তু মামলার তদন্ত শেষ হলো না। কবে তদন্ত শেষ হবে আর কবে বিচার পাবো জানিনা। এখন তো মনে হচ্ছে বিচারই পাওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি ভিডিও ফুটেজটি দেখেছি। মারধরে ৪০ থেকে ৫০ জনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। যার মধ্যে কমপক্ষে ২০ থেকে ২২ জন সরাসরি জড়িত। সেখানে এ পর্যন্ত ১৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। জড়িত অন্যদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, রেনুর ১১ বছরের ছেলে তাহসিন আল মাহির ও চার বছরের মেয়ে তাসনিম তুবা রয়েছে। সে লেখাপড়া শেষে আড়ং ও ব্র্যাকে চাকরি করেছেন। স্কুলেও করেছেন শিক্ষকতা। ২০১৭ সালে স্বামী তসলিম হোসাইনের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে মায়ের সঙ্গে মহাখালীর ওয়্যারলেস গেটের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি