ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

একজন ইউছুপ আলী হয়ে উঠার গল্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫৮, ১৩ মে ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৩৩, ১৪ মে ২০১৮

ছেলেবেলায় বাবার সঙ্গে করতেন আলুর ব্যবসা। শিশুকালে অন্য ছেলেরা যখন ব্যাট-বল আর হরেক রকমের খেলনা নিয়ে খেলা করতো, ইউছুপ আলী তখন আলুর স্তুপের বসে আলু গুনতো। সময়ের বিবর্তনে নিজ মেধা আর যোগ্যতায় সেই ইউছুপ আলী-ই আজ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের অন্যতম ধনাঢ্য ব্যবসায়ী।

সমাজে এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা কোনো প্রচারণার ধার ধারেন না, জনহিতকর বিভিন্ন কাজ করেই আত্মপ্রসাদ লাভ করেন, হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে যারা ছায়ার মতো কাজ করেন মোহাম্মদ ইউছুপ আলী তাদেরই একজন। নিজের প্রচেষ্টায়, পরিশ্রম, সাধনা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ইউছুপ আলী এখন দেশের অন্যতম ধনকুবের। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।

ইউছুপ আলী এশা গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি হংকং এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি হংকংয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

ইউছুপ আলী একজন সজ্জন মানুষ হিসেবে পরিচিত। এলাকার সাধারণ মানুষের প্রতি রয়েছে তার অপরিসীম মমত্ববোধ ও ভালোবাসা। ইউছুপ আলী’র স্থায়ী নিবাস চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার পূর্বমুরাদপুর গ্রামের দোয়াজীপাড়ায়। মা’র নাম মরহুমা মনজুরা বেগম ও বাবা মরহুম রেজওয়ান উল্লাহ। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাউন্টিং ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স এবং ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি ১৯৯১ সালের মে মাসে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে চট্টগ্রামের কেডিএস গ্রুপে চাকরিতে যোগদান করেন।

ছাত্রজীবনে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। নিজএলাকার সাবলীল নামক ক্লাবের তিনি প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ও পরে সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৩ সালে কেডিএস গ্রুপের হংকং অফিসে যোগদানের মাধ্যমে তিনি হংকং এ বসবাস শুরু করেন। তার দু’কন্যা ও একপুত্র রয়েছে। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি হংকং এ সফলতার সাথে ব্যবসা করে আসছেন। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের সাথেও সম্পৃক্ত আছেন।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি