ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

একাত্তরের ঘাতক নির্মূল কমিটি পার করলো আন্দোলন-সংগ্রামের ২৫টি বছর

প্রকাশিত : ১২:৩৭, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১২:৩৭, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের দেখানো পথেই একাত্তরের ঘাতক-দালালদের বিচার চলছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননীর হাতে গড়া সংগঠন একাত্তরের ঘাতক নির্মূল কমিটি পার করলো আন্দোলন-সংগ্রামের ২৫টি বছর। এখন দল হিসেবে জামায়াতেরও বিচার চায় সংগঠনটি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোকে তাদের আন্দোলনের বড় অর্জন বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নরঘাতক গোলাম আযমকে তৎকালীন বিএনপি সরকার নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার পর ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর আমীর ঘোষণা করে জামায়াত। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল আর চিহ্নিত ঘাতক-দালালদের বিচারের দাবি ওঠে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত হয় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এই আন্দোলনের সাথে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ ও সেসময়ে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। ওই বছরের ২৬ মার্চ গণ-আদালতের প্রতিকী বিচারের রায়ে গোলাম আযমকে ফাঁসির দন্ড দেওয়া হয়। এরপর কেটে গেছে আন্দোলন-সংগ্রামের ১৯টি বছর। এরমধ্যেই ১৯৯৪ সালে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান জাহানারা ইমাম। অবশেষে নির্বাচনী প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ২০০৯ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল যাত্রা শুরু করে। এরইমধ্যে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। যারা এ আন্দোলনের সাথে যুক্ত আছেন তারা বলছেন, দল হিসেবে জামাতের বিচারও এখন সময়ের দাবি। কেউ কেউ বলছেন, এ আন্দোলনের ফলে দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে এটাও অনেক বড় অর্জন। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের অনেক পথ এখনো বাকি আছে বলে মনে করেন নির্মূল কমিটির নেতারা।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি