ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

এজেন্সি বদল : মোয়াল্লেমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ২৩ হাজির

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৫১, ৫ অক্টোবর ২০১৭

হজের সময় এক এজেন্সির নামে সৌদি আরবে নিয়ে গিয়ে আরেক এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনায় মোয়াল্লেমদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন ২৩ হাজি।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২৩ ভুক্তভোগীর পক্ষে মো. মিজানুর রহমান ও শেখ শরীফুল ইসলাম নামে দুজন ওই অভিযোগ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মোয়াল্লেম শফিকুল ইসলাম উন্নত বাসস্থান, মানসম্মত খাবার ও যানবাহনের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা না করে ‘প্রতারণা’ করেছেন। তাদের জিম্মি করে আদায় করা হয়েছে অতিরিক্ত অর্থ।

অন্যদিকে মোয়াল্লেম শফিকুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি এজেন্সি ও হাজিদের ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’।

অভিযোগকারীদের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাঁচ ভাই-বোন ও আত্মীয়সহ মোট আটজন মোয়াল্লেম শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে হজে গিয়েছিলাম। আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল শফিকুল, যার কিছুই সে রাখেনি। বিমানে ওঠানো থেকে শুরু করে হজের শেষ দিন পর্যন্ত আমরা দুর্বিষহ জীবন কাটিয়েছি।

শফিকুল নিজ হজ এজেন্সি মডার্ন এয়ার ইন্টারন্যাশনালের নামে হজে নেওয়ার পর সিয়াম ওভারসিজ নামের আরেক এজেন্সির কাছে হস্তান্তর করে দেন বলে মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন।

আক্ষেপ করে মিজানুর জানান, হজে নেওয়ার আগে খাবার, যাতায়াতসহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো শফিকুল নিজেই দেখার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সিয়ামের হজযাত্রীদের সঙ্গে থাকলেও অন্য কোনো সুযোগ সুবিধা পাননি অভিযোগকারীরা।

আরেক ভুক্তভোগী শেখ শরীফুল ইসলাম জানান,  মা, খালা ও আত্মীয়সহ তারা মোট পাঁচজন এবার হজে গিয়েছিলেন শফিকুলের মাধ্যমে। হজের সময় মোয়াল্লেম সার্বক্ষণিক সাথে থাকার কথা। কিন্তু শফিকুল যাননি, লোক দেওয়ার কথা বলেও দেয়নি। আমাদের বলেছিল তিন তারকা হোটেলে রাখবে। তিন বেলা ব্যুফের খাবার পাওয়া যাবে। যাতাযাতের জন্য গাড়ি দেওয়া হবে। অথচ আমাদের সাধারণ একটি বাড়িতে রেখেছে। অতি নিন্মমানের খাবার পলিথিনে করে দিয়ে যেত স্থানীয় ক্যাটারিংয়ের লোক। যাতায়াত করতে হয়েছে নিজেদের খরচে।

শরীফুল বলছেন, ‘অস্বাস্থ্যকর’ খাবার খেয়ে তাদের দলের ২৩ জনই পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অসুস্থতাসহ অন্যান্য অসুবিধার কথা জানিয়ে ফোন দেওয়া হলে মোয়াল্লেম শফিকুল ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে মক্কায় হজ মিশনের সহায়তায় আমরা চিকিৎসা নিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে সিয়াম ওভারসিজের পরিচালক মোজাহিদুল ইসলাম ঢালি জানান, শফিকুল তাদের এজেন্সির কাছে ২৩ জনকে নিবন্ধিত করে এবং খাবার ও যাতাযাতের ব্যবস্থা নিজে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু শেষ অব্দি তিনি সিয়ামের টাকা এখনো পরিশোধ করেনি।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শফিকুল। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি তাদের যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সব রেখেছি। ২৩ জনই খুব ভালোভাবে হজ করেছে, এখন হজ করে এসে তারা আমাকে চাপ দিয়ে টাকা আদায় করতে চায়। এটা এজেন্সি আর হাজিদের ষড়যন্ত্র।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি