ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

এমপি লিটন হত্যা : ৭ আসামীর মৃত্যুদণ্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০০, ২৮ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৪:৩৩, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ডা. কাদের খানসহ ৭ আসামির মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।

গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ডা. আবদুল কাদের খাঁন, তার ভাতিজা মেহেদি, পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আব্দুল হান্নান, ডিস ব্যবস্যায়ী শাহিন, রানা ও চন্দন কুমার রায়।

এদের মধ্যে চন্দন কুমার পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামির মধ্যে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী কাদের খান, তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, ডিস ব্যবস্যায়ী শাহীন ও রানা জেলা কারাগারে রয়েছেন। মামলার আট নম্বর আসামি কসাই সুবল সম্প্রতি কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর সর্বশেষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন উভয়পক্ষের আইনজীবীরা।

বহুল আলোচিত সাংসদ লিটন হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ দুটি মামলা দায়ের করে- একটি অস্ত্র মামলা, অন্যটি হত্যা মামলা। অস্ত্র মামলায় একমাত্র আসামি ওই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খানকে গত ১২ জুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হত্যা মামলাটির রায় হলো আজ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলী। তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল আলোচিত এ হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে তা শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। এ পর্যন্ত আদালতে মামলার বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে কাদের খানকে গ্রেপ্তারের পর থেকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আসামি কাদের খানের পিএস মো. শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আবদুল হান্নান, কাজের লোক মেহেদি হাসান, শাহীন মিয়া ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে রানা জেলা কারাগারে রয়েছেন। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে আসামি কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান। এ ছাড়া ভারতে পলাতক রয়েছেন অপর আসামি চন্দন কুমার সরকার।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি