ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫

ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস আজ

প্রকাশিত : ০৮:৩৫, ৩০ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১২:০৬, ৩০ জুন ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

আজ ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ১৮৫৫ সালের আজকের এই দিনে সাঁওতালরা রক্ত দিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। মুক্তিকামী মানুষের কাছে যা আজও প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

ভারতের ভাগলপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার প্রায় দেড় হাজার বর্গমাইল এলাকা দামিন-ই-কোহ্‌ বা ‘পাহাড়ের ওড়না’ এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। ভাগলপুরের ভগনাডিহি গ্রামের চার ভাই সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরবের নেতৃত্বে ওই অঞ্চলে সংঘটিত হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ। ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন ভগনাডিহি গ্রামে ওই অঞ্চলের ৪০০টি গ্রামের ১০ হাজার সাঁওতাল কৃষক জমায়েত হন।

সমবেত সাঁওতাল কৃষকরা সেদিন শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছিলেন। জমায়েতে সিদ্ধান্ত হয়, অত্যাচারী শোষকদের হাত থেকে রক্ষায় সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে, জমির খাজনা দেওয়া হবে না, প্রত্যেকের যত খুশি জমি চাষ করার স্বাধীনতা থাকবে ও নিজেদের মতো করে সরকার কায়েম করা হবে। বিদ্রোহের মূল দাবি ছিল, ‘জমি চাই, মুক্তি চাই’।

জমিদার, মহাজন ও ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ওই বিদ্রোহে পরে এলাকার শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি, বিহারি, হিন্দু-মুসলমান গরিব কৃষক এবং কারিগররাও যোগ দেন। বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়া সিধু ও কানু পালকিতে এবং চাঁদ ও ভৈরব ঘোড়ায় চড়ে বিদ্রোহীদের পাশে থেকে উৎসাহ দিতেন।

প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হবে।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি