ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উপলক্ষে এ্যাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত : ২২:০০, ৭ নভেম্বর ২০২৫
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) সেমিনার হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সচিব প্রকৌশলী এ. এন. এইচ. আখতার হোসেন, এ্যাবের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও এ্যাবের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকৌশলী কাজী আবুল কাশেম। সঞ্চালনা করেন প্রকৌশলী শামিম রাব্বি সঞ্চয় ও প্রকৌশলী শফিউল আজম ফাহিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, “১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা লাভ করলেও প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি। মানুষের আত্মপরিচয় কলুষিত করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতির মাধ্যমে এদেশে প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই জনগণকে সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও আত্মপরিচয়ের সংকট থেকে মুক্ত করেছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক রাষ্ট্র নির্মাণের স্থপতি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও শিল্পায়নের ভিত্তি তিনিই স্থাপন করেন। আজও শেখ হাসিনা তার অবদানকে মুছে ফেলতে পারেননি, কারণ ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ এখনো মানুষের মনে প্রোথিত।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশলী আখতার হোসেন বলেন, “১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পরও আওয়ামী লীগ সেই স্বাধীনতার স্বাদ জনগণকে দিতে পারেনি। প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির মধ্য দিয়ে।”
তিনি বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের প্রকৌশলীদের মেধার মূল্যায়ন করেছিলেন। তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণে তিনি বিদেশি প্রকৌশলীর পরিবর্তে দেশীয় প্রকৌশলীদেরই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি প্রকৌশলীদের আত্মমর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।”
অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর বলেন, “বিএনপি কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি মানবিক মূল্যবোধের ধারক দল। বাংলাদেশের সংকটময় মুহূর্তে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবার সবসময় জাতির পাশে থেকেছে।”
তিনি আরও বলেন, “৭ নভেম্বরের জাতীয় সংহতি দিবসই দেশের মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে প্রথম ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করেছিলেন। আসন্ন ২০২৬ সালের নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।”
সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিন বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে এদেশে স্বাধীনতা আসতো কি না সন্দেহ আছে। তিনি নিজের পরিবারকে ঝুঁকির মুখে ফেলে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। বিএনপি না থাকলে আজ বাংলাদেশ ভুটান বা কম্বোডিয়ার মতো অবস্থায় পড়তো।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব এদেশের মানুষের আত্মপরিচয়ে বাঁধা সৃষ্টি করেছিলেন, আর শেখ হাসিনা সেই নীতিরই প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন - এ্যাবের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য প্রকৌশলী শোয়েব বাশরী হাবলু, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, এ্যাবের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, গণমাধ্যম মিডিয়া উপ-কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল রাসেল, আপ্যায়ন উপ-কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী শাহীন হাওলাদার, প্রচার ও আমন্ত্রণ উপ-কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী কে. এম. আসাদুজ্জামান চুন্নু ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী গোলামা মোস্তফা খান, ডেকোরশন ও কারিগরী সহযোগিতা উপ-কমিটি’র আহবায়ক প্রকৌশলী এইচ এম মইনুল ইসলাম ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী রবিউল আলম উজ্জ্বল, শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান সাইফুল ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী এস. এম. ফয়সাল মাহমুদ, অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহবায়ক হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী মিঠুল ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন তালুকদার প্রিন্স, অর্থ উপ-কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী আলিমুল বাহার রিপন ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী মনসুর আহম্মেদ ও যুগ্ম-আহবায়ক প্রকৌশলী মাহাবুব আলমসহ বিভিন্ন উপকমিটির সদস্যরা।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী প্রকৌশলীরা আলোচনা সভায় অংশ নেন। তাঁরা ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব, দেশপ্রেম ও উন্নয়নমূলক অবদান স্মরণ করেন।
আলোচনা শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ জাতীয় ঐক্য, প্রকৌশলীদের পেশাগত মর্যাদা ও আগামী দিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এমআর//
আরও পড়ুন










