কন্যা সন্তান হওয়ায় মিষ্টির বাক্সে ইট-মাটির গুঁড়া
প্রকাশিত : ১৯:৪৩, ১৫ জুন ২০২৫

কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে মিষ্টির বাক্সে মিষ্টির বদলে মাটি ও ইটের গুঁড়া পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে জামাই মোকছেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। রোববার (১৫ জুন) কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামে এ খবর জানাজানি হলে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে এই ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করেছে অভিযুক্ত মেয়ের জামাই।
স্থানীয় সূত্র ও পরিবার জানায়, বড় ধনতোলা এলাকার সাহেব আলী ওরফে সব্দুল হকের ছেলে মোকছেদুল ইসলামের সঙ্গে কাজাইকাটা গ্রামের আফতার আলীর মেয়ে আছমা খাতুনের বিয়ে হয় বছরখানেক আগে। সদ্য আছমা খাতুন কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার পর, গত ১১ জুন সকালে মোকছেদুল শ্বশুরবাড়িতে আসেন এবং শাশুড়ির হাতে একটি মিষ্টির কার্টন তুলে দেন। তবে কার্টনটি খুলে দেখা যায়, তাতে মিষ্টির পরিবর্তে রয়েছে মাটি ও ইটের গুঁড়া।
ভুক্তভোগী আছমা খাতুন বলেন, বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন তিনি। গর্ভে সন্তান আসার পর বলতেন—ছেলে হলে ভালো, মেয়ে হলে বিপদ। এখন মেয়ে জন্ম হয়েছে বলে এভাবে অপমান করলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মোকছেদুল ইসলাম বলেন, আমি এক কেজি মিষ্টি আর শিশুকন্যার কিছু কাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম। কার্টনে মাটি-ইট ছিল—এটা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। আমাকে হেয় করার চেষ্টা চলছে।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবু সাঈদ বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানি না, তবে স্থানীয়দের মুখে শুনেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি।
স্থানীয়দের অনেকে ঘটনাটিকে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সামাজিক অবজ্ঞা এবং সহিংস মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন। তারা দৃষ্টান্তমূলক সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন।
আরও পড়ুন