ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

করোনায় বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি অর্ধলক্ষ ছুঁই ছুঁই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৯, ২ এপ্রিল ২০২০

করোনায় থমকে যাওয়া বিশ্বে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে মৃতের সারি। চীন থেকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার তিন মাসে প্রাণহানি অর্ধলক্ষ ছুঁই ছুঁই। আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটির থাবায় বিশ্বের অন্তত ৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৭ হাজার ২৪১ জনে। অপরদিকে, এ সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজারের বেশি। ফলে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। 

করোনায় মৃতদের মধ্যে শুধু ইউরোপেই ৩০ হাজারেরও বেশি। যার সবচেয়ে ভুক্তভোগী ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩ হাজার ১৫৫ জন। যেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জনে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মানুষ মারা গেছে প্রতিবেশি স্পেনে। প্রতিদিনই সেখানে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। দেশটিতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৯ হাজার ৩৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৪ হাজার ১১৮ 

প্রাণহানিতে ইউরোপের এ দুই রাষ্ট্র (ইতালি ও স্পেন) এগিয়ে থাকলেও ভয়াবহ সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। করোনার হানায় দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। 

এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত সাড়ে ২৫ হাজার মানুষের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। মারা গেছেন আরও ৯০৮ জন। ফলে, করোনার দাপটে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ১১০ জনের। 

যাদের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নিউ ইয়র্ক রাজ্য। গোটা দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীই এ অঙ্গরাজ্যের। বুধবার এ অঞ্চলে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯১৭ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার ৯০১ জন। এদিন সেখানে মারা গেছেন আরও ৩১৯ জন। ফলে শুধু নিউ ইয়র্কেই মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১৯ জনে।

এরপর নিউ জার্সিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৯ হাজার মানুষ, মারা গেছেন ২৬৭ জন।

দেশটিতে সংকটাবস্থা পার করছে প্রবাসীরাও। দেশটির নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে, করোনার মহামারিতেও পড়েছেন তারাও। বিশেষ করে খাদ্যগত পার্থক্য থাকার কারণে সমস্যা আরও প্রকোট হচ্ছে। দেশব্যাপী এখন পর্যন্ত ৩৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে করোনায়। 

এরপরই রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত প্রায় ৫৭ হাজার। এছাড়া যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ২৯ হাজার ৪৭৪ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৫২ জন। নেদারল্যান্ডসও মৃতের সংখ্যা ঠেকেছে এক হাজার ১১৭ জনে।

জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ৭৭ ৯২১ জন করোনাভাইরারে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ৯২৫ জন। ১ এপ্রিল দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১১৩ জন আর মারা গেছে ১৫০ জনের, যা একদিনে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড।

দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ভারতে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃত বেড়ে ৫৮ জনে পৌঁছেছে। 

পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ১১৮ জন, প্রাণহানি ঘটেছে ২৭ জনের। নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারেও এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।

আর বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও দুইজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে।  এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৬ জনে। 

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজনের বয়স ৩০-৪০ বছরের মধ্যে, আরেকজনের বয়স ৭০-৮০ বছরের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাস নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিং করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখার পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেহে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি।

আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৫৬ জনের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে সেরে উঠেছেন ২৬ জন। আর এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৪ জন।

এআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি