কর্ণফুলীর দুই তীরকে যুক্ত করলো স্বপ্নের টানেল (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪৪, ২৬ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১১:৪৬, ২৬ নভেম্বর ২০২২
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন হচ্ছে জানুয়ারিতে। আজ টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্তকাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওয়ান সিটি টু টাউন- এখন বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। একদিকে মূল চট্টগ্রাম শহর আর অন্যদিকে আনোয়ারা। কর্ণফুলীর দুই তীরকে যুক্ত করতে এই স্বপ্নের টানেল।
নদীর তলদেশে মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক তিন-দুই কিলোমিটার। সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক তিন-পাঁচ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, “মাদারবাড়িতে যে বিকাল কর্মযজ্ঞ হচ্ছে অবশ্যই এর সঙ্গে একটা সম্পর্ক আছে, নিবিড় সম্পর্ক আছে। এর মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমে যাবে।”
কর্ণফুলীর তলদেশে ১৮ মিটার থেকে ৩৬ মিটার গভীরতায় এ সুড়ঙ্গ। নদীর মাঝ পয়েন্টে এই গভীরতা প্রায় ১শ’ ১৫ ফুট। টানেলে চার লেনের দুটি করে টিউব। প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক চার-পাঁচ কিলোমিটার আর, ব্যাস ১০ দশমিক আট-শূন্য মিটার।
সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, “ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল কাজগুলো বাকি, উত্তর টিউবের বাকি কাজ সমাপ্ত করে আশা করছি, আগামী বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারবো।”
নদীর পানি কিংবা তরল জাতীয় যেকোনো কিছুর প্রবেশ ঠেকাতে টানেলের ভেতরে ও বাইরে উচ্চ মানের ও সর্বোচ্চ আধুনিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাড়তি সর্তকতামূলক ব্যবস্থায় পানি বের করতে টানেলের ভেতরে রয়েছে পাম্পঘরও।
বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনর রশীদ বলেন, “এইসব সিস্টেমগুলো কাজ করছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সমস্যা হতে পারে।”
ভেতরে বাতাস প্রবেশ করাতে ২০টি শক্তিশালী পাখার ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর আয়োজন আছে টানেলের ভেতর।
পদ্মাসেতুর চালুর মধ্যদিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক যোগাযোগের এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। আর কর্ণফুলি টানেলও সেই আশাই দেখাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতি বিকাশের ক্ষেত্রে। টানেলটির দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ শেষ হলো আর উত্তর টিউব জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। তখনই এই টিউবটি জনসাধারণের চলাচলেরও জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে করে বাণিজ্য নগরীর বাণিজ্য যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনিভাবে এই অঞ্চলে পর্যটনেরও বিকাশ লাভ করবে।
এএইচ










