ঢাকা, শনিবার   ১০ মে ২০২৫

কাতারের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পোষাপাখির বাজার

কাতার প্রতিনিধি :

প্রকাশিত : ১১:০২, ১৩ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১১:০৬, ১৩ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

কাতারের অন্যতম দর্শনীয় ও পর্যটন স্থান প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বাজার সুক ওয়াকিফ যা পোষাপাখির বাজার হিসেবে পরিচিত। এই বাজারে প্রতিদিন ঘুরতে আসেন নানা দেশের পর্যটক। এর অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে কোলাহলমুখর পোষাপাখির আওয়াজ।

পাখির কিচিরমিচিরে সবসময় মুখর এই হাটে মিলবে পছন্দের নানা প্রজাতি ও রং বেরঙের পাখি। বছরজুড়ে প্রতিদিনই নানা বয়সের দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকে এই পাখির বাজার। আরবিতে এর নাম সুক আল হামাম।

এখানে বিক্রি হয় টিয়া কবুতর সহ দেশ বিদেশের নানা প্রজাতির পোষাপাখি। বিশেষ করে টিয়াপাখির কদর এখানে অনেক বেশি।ছোট বড় নানা আকারে বিভিন্ন রঙের বিদেশি পাখিগুলো ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে। আরও পাওয়া যায় বিদেশি কুকুর, বিড়াল, ইদুর, খরগোশসহ অন্য অনেক প্রজাতির প্রাণীও।

দীর্ঘদিন ধরে এই বাজারে ব্যবসা করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। আরব ও ইউরোপের নানা দেশ থেকে তারা পাখি কিনে এনে এখানে বিক্রি করেন ক্রেতাদের কাছে। এই বাজারে আছে সর্বনিম্ন ১৫ রিয়াল থেকে শুরু করে কয়েক হাজার রিয়াল মূল্যের দামি পাখি।

সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের ক্রেতারা আসেন এই বাজারে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না এখানে। শীত মৌসুমে কেনাবেচা বেশি হয় বলে গরমকালে ক্রেতার সংখ্যা স্বাভাবিকভাবে কমে যায় বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

কেবল পশু-পাখি নয়, বরং এখানে পাওয়া যায় রঙিন মাছ, একুরিয়াম, পশু-পাখির খাঁচা, খাবারদাবার, ওষুধপত্রসহ নানা সামগ্রী। ফলে নতুন পোষাপ্রাণী কিনতে যেমন অনেকে এখানে আসেন, তেমনিভাবে ঘরে থাকা পশু-পাখির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনতে আসেন স্থানীয় নাগরিক, অভিবাসী ও পর্যটকরা।

যুগ যুগ ধরে পশুপাখি শৌখিন মানুষের পরিবারে সদস্যদের মতোই মর্যাদা ও আদর পেয়ে আসছে।মানুষের সেই শখ ও চাহিদা পূরণে তাই এ বাজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এমএইচ/টিআর

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি