ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫

কিডনি ভালো রাখতে মেনে চলুন ৬টি অভ্যাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১১, ৩০ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৮:০৪, ৩০ মে ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বর্তমানে কিডনিতে পাথরের সমস্যা খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্পবয়সীরাও কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভূগছেন। অনিয়মিত জীবন, পানি কম খাওয়া, অতিরিক্ত লবন খাওয়া এবং অতিরিক্ত আমিষ খাবার খাওয়া ইত্যাদিকে কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হয়। মনে রাখবেন, কিডনি আমাদের শরীরকে পরিষ্কার করে। তাই প্রতিদিন প্রয়োজনমতো পানি পান করা উচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের একবার কিডনিতে পাথর হয়, তাদের ফের হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। দেখে নিন কী কী করলে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়।

পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান: দিনে অন্তত ৩ লিটার পানি পান করুন। গরমের সময় তুলনামুলক বেশি পানি পান করতে হবে। কারণ, গরমে শরীর থেকে ক্রমাগত পানি বেরিয়ে যায়। শরীরের যাবতীয় টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) কিডনিতে পানির মাধ্যমে পরিস্রবন হয়ে মূত্র রূপে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করলে কিছু টক্সিন কিডনিতেই থেকে যায়। তবে একেবারে বেশি পানি পান করবেন না। এতে ক্ষতিও আছে।

ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খান: সাধারণভাবে মনে করা হয় ক্যালসিয়াম জমা হয়েই কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। এটা আংশিক সত্য। তার মানে এই নয় যে, ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হবে। উল্টো যদি না খান তাহলে এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে প্রাকৃতিকভাবে খাবারের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন। এতে ভালো কাজ হবে। দিনে অন্তত একটি পাতিলেবুর রস খান।

লবন খাওয়া কমিয়ে দিন: বেশি মাত্রায় লবন খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। লবনে থাকা সোডিয়াম কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ২,৩০০ মিলিগ্রাম এর বেশি লবন কখনই খাওয়া উচিত নয়। আগে যাদের একবার পাথর হয়ে গিয়েছে, তারা ১,৫০০ মিলিগ্রাম এর বেশি লবন কখনই খাবেন না।

নিরামিষ বেশি খান: যাদের ইউরিক এসিডের জন্য কিনডিতে পাথর হয়েছে বিশেষত তারা আমিষ খাওয়া একেবারে কমিয়ে ফেলুন। লাল মাংস, পোলট্রি জাতীয় খাবার, সামুদ্রিক খাবার এবং ডিম খাওয়া একেবারে কমিয়ে দিতে হবে। মনে রাখবেন, দিনে ১০০ গ্রামের বেশি কখনই খাবেন না।

মদ্যপান বন্ধ করুন: যাদের ইউরিক এসিড পাথরের সমস্যা রয়েছে তারা মদ্যপান বন্ধ করে দিন। অ্যালকোহল বেশি শরীরে গেলে পিউরিন লেভেল বেড়ে যায়। যা প্রকারান্তরে ইউরিক এসিড বাড়িয়ে তোলে।

ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এতে পাথর জমার মতো অবস্থা তৈরি হতে বাধার সৃষ্টি করে। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং কিডনির পাথরের সমস্যা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।

কিনডিতে পাথর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এমন বহু পাথর হয় যা বার করতে অস্ত্রোপচারে প্রযোজন হয়।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি