ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কোস্টগার্ডের জাহাজ নোঙড়ে লঞ্চঘাটের পন্টুনে যাত্রি দূর্ভোগ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৯:৩৮, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

পটুয়াখালীর বাউফলের নিমদী লঞ্চঘাটে কোস্টগার্ডের জাহাজ নোঙরের কারণে যাত্রি সাধারনের দূর্ভোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লঞ্চঘাটের একজন সুপার ভাইজার জানান,  প্রতিদিন নিয়মিত বিভিন্ন রুটের কয়েকটি একতলা লঞ্চ ছাড়াও ঢাকাগামি তিন তিনটি ডবল ডেকার লঞ্চ ঘাট দেওয়ায় হাজারো যাত্রিসাধারণ ওঠা নামা করে নিমদী লঞ্চঘাটের পনটুন দিয়ে। কিন্তু নিশেধাজ্ঞায় ইলিশ রক্ষার নামে লঞ্চঘাটের একমাত্র পন্টুনে কোস্টগার্ডের সাদা রঙের একটি জাহাজ (পি ১১১) নোঙর করে থাকায় ওই পন্টুনে সাবলিল ভিড়তে পারছে না ঢাকাগামী ডবল ডেকার লঞ্চগুলো। কোস্টগার্ডের ওই জাহাজের কারণে লঞ্চ ও লঞ্চের যাত্রি সাধারণের ওঠা-নামায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। 

অপরদিকে পনটুনের বাহিরে লঞ্চ ভেড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে ফেলা জিও ব্যাগের বাঁধ। অবরোধে তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ রক্ষায় এসে এক অজনা কারণে টহল না দিয়ে লঞঘাটে কেবল জাহাজ নোঙর করে রেখে নিকট থেকে জেলেদের ইলিশ শিকারের দৃশ্য দেখছে।  

স্থানীয় ওই সুপারভাইজার বলেন, ‘ইলিশ রক্ষায় কোস্টগার্ডের ওই জাহাজটি নদীতে টহল দেওয়ার কথা থাকলেও ঘাটে নোঙর করে থেকে টাকা পয়সা-লেনদেনের মাধ্যমে নির্ভিগ্নে ইলিশ শিকারে জেলে নৌকা পাহাড়ার ভূমিকা পালন করছে জাহাজের কোস্টগার্ডের সদস্যরা। অদূরেই জেলেরা নৌকায় ইলিশ শিকার করলেও দেখে তারা না দেখার ভান করছে। লঞ্চঘাটের পন্টুনে লঞ্চ ঘাট দেওয়া ও যাত্রি সাধারণের ওঠা নামায় বিঘœ ঘটাচ্ছে। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা বললেও কোন প্রতকিার মেলেনি। চলতি নিশেধাজ্ঞার সময় ছাড়াও বিভিন্ন সময় এরা দখল করে থাকে এই ঘাটের একমাত্র পন্টুনটি।’ 

আব্দুল কাদের নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘কোস্টগার্ডের সদস্যরা স্থানীয় কয়েকজন ও জেলেদের সঙ্গে সখ্যতা করে এই অবরোধে মোটা অঙ্কের টাকা কামাইতেছে। তেঁতুলিয়া নদীতে অদূরে জেলেরা ইলিশ ধরছে আর ওনারা নদী পাহাড়া না দিয়া লঞ্চঘাটে নোঙর কইর‌্যা যাত্রিদের ওঠা নামায় কস্ট দিতেছে। এসব দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করইর‌্যা এক ইন্টারনেটে ছাড়লেও তাদের টনক লড়ে নাই।’    
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা-কালাইয়াগামী এক ডবল ডেকার লঞ্চের ইন্সপেক্টর জানান, ‘আমাদের এতবড় লঞ্চ ছোট্ট এই পন্টুনে ভিড়াটাই দু:সাধ্য। উপরন্তু কোস্টগার্ডের জাহাজ  প্রতিনিয়ত লঞ্চ ভেড়ার সময়ে পন্টুনে অবস্থান করলে যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’                   

এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই জাহাজের দায়িত্বে থাকা কোস্টগার্ডের সিনিয়র প্যাডি অফিসার মো. ওবায়দুল হক (০১৭৬৬৬৯০৭৭০) বলেন, ‘লঞ্চ ভিড়তে পন্টুনের অর্ধেকাংশ ছেড়ে দিয়ে আমাদের জাহাজ নোঙর করা হয়েছে। স্পিড বোর্ড না থাকায় জেলে নৌকা পাকরাও করতে সমস্যা ছিল। তবে আজ থেকে ভোলা অঞ্চল থেকে পাওয়া একটি স্পিড বোর্ডে তেঁতুলিয়া নদীর চন্দ্রদ্বীপ এলাকায় আমাদের সদস্যরা টহল দিচ্ছে।’ 

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি