ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান কাদের গ্রেফতার

প্রকাশিত : ১২:৫৪, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

বিপুল অর্থ বিদেশে পাচারের মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ কাদেরকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। কাদেরের বিরুদ্ধে প্রায় ৯২০ কোটি টাকা পাচার করার তথ্য-প্রমাণ মিলেছে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাব্যবস্থাপক মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, মুদ্রা পাচারের প্রমাণ পাওয়ায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের চার কর্মকর্তাসহ জনতা ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তার নামে বুধবার রাজধানীর চকবাজার থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাকে কাকরাইল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনস্থ শুল্ক্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর এমএ কাদেরের নিয়ন্ত্রণাধীন তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ মামলা করে। এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ খবর জানান। ক্রিসেন্ট লেদারের চেয়ারম্যান রফতানি না করেও সরকারি জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পরিদর্শন প্রতিবেদনে উঠে আসে। এরপর থেকেই নানাভাবে সমালোচিত ক্রিসেন্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো।

শুল্ক্ক গোয়েন্দারা জানান, ক্রিসেন্টের তিন প্রতিষ্ঠান দেশ থেকে মোট ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা পাচার করেছে। এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে। বিকেলে রাজধানী ঢাকার চকবাজার মডেল থানায় শুল্ক্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পৃথক এ মামলা করে। অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানগুলো রফতানির আড়ালে অবৈধ পন্থায় দেশ থেকে টাকা পাচার করেছে। এনবিআরের দাবি, তদন্তে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ মিলেছে।

শুল্ক্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর বলছে, এম এ কাদেরের প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ৪২২ কোটি ৪৬ লাখ, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ৪৮১ কোটি ২৬ লাখ ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেড ১৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা পাচার করেছে। মোট টাকার পরিমাণ ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ। অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।

এই অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকায় শুল্ক্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধিত ২০১৫) অনুযায়ী রিমেক্স ফুটওয়্যার লি.-এর চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুল জাহান (মিরা) এবং অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লি. ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লি.-এর চেয়ারম্যান এম এ কাদের এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম (মনি) ও জনতা ব্যাংক লি.-এর সংশ্নিষ্ট ১৩ কর্মকর্তাকে আসামি করে ৩০ জানুয়ারি ঢাকার চকবাজার মডেল থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নম্বর যথাক্রমে-৫৪, ৫৫ ও ৫৬। মামলা নম্বর ৫৪ ও ৫৬-এর অন্যতম আসামি ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লি. ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লি.-এর চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকার কাকরাইল থেকে শুল্ক্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর আটক করেছে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি