ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

খালেদার অনুপস্থিতিতে রায় হবে কি-না আদেশ কাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৫, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

 

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ চলবে-হাইকোর্টের এমন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় হবে আগামীকাল সোমবার।

আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এদিন ঠিক করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মোশাররফ হোসেন কাজল। আর খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলমান রাখার বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। কাল আদেশ হবে। আদেশের পর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত। তথা খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে রায় হবে কি-না সেটি কালকের পর বুঝা যাবে।

এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই আগামী কাল রায়ের জন্য দিন ধার‌্য রেখেছেন আদালত।

এর আগে মঙ্গলবারদুপুরে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান রায়ের জন্যে ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই চ্যারিটেবল মামলার বিচারকাজ চলমান রাখার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি আবেদন দাখিল করা হয়।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর ছাড়া আর একবারো আদালতে হাজির হননি খালেদা জিয়া। এ কারণে দুদকের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ব্যতিরেকেই বিচার চালিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি শেষে ২০ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ছাড়াই এ মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দেন আদালত। গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ সাত বছর কারাদণ্ড দাবি করে দুদক প্রসিকিউশন।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব (বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক) জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আর মনিরুল ইসলাম খান জামিনে ও জিয়াউল ইসলাম মুন্না কারাগারে আছেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি