ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪

খুচরা বিক্রেতা এখন পৃথিবীর শীর্ষ ধনী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১১, ৯ মার্চ ২০১৮

পৃথিবীর শীর্ষ ধনী এখন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেফ বেজোস। তিনি বিল গেটস ও ওয়ারেন বাফেটকে হটিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়েছেন। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১৮ সালের বৈশ্বিক বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় বেজোস এখন শীর্ষে।

২০১৮ সালের তালিকা অনুযায়ী, তার সম্পদের পরিমাণ ১১২ বিলিয়ন ডলার, যা পৃথিবীতে কোনো কালে আর কারও ছিল না।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের মোট খুচরা বিক্রির ৪ শতাংশ হয়েছে জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠিত আমাজনের মাধ্যমে। আর দেশটিতে ডিজিটাল মাধ্যমে যত ব্যয় হয়েছে, তার ৪৪ শতাংশ হয়েছে আমাজনের মাধ্যমে।

আমাজন শুরুর আগে বেজোস যখন আর্থিক খাতে চাকরি করতেন, তখন তিনি ‘সবকিছুর দোকান’ হিসেবে আমাজনের স্বপ্ন দেখতেন। এটি শুরুর আগে তার বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা তাকে চাকরি ছাড়তে নিরুৎসাহিত করতেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক করেন প্রযুক্তি খাতের এই স্বপ্নদ্রষ্টা। স্নাতক শেষ করার পর স্টার্টআপ কোম্পানি ফিটেলে যোগ দেওয়ার জন্য ইনটেল ও বেল ল্যাবসের মতো কোম্পানির চাকরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তিনি সিনেটের প্রতিষ্ঠাতা হ্যালসে মাইনরের সঙ্গে ফ্যাক্সের মাধ্যমে সংবাদ সরবরাহের কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগ ব্যর্থ হলে ডি. ই শ নামের এক হেজ ফান্ডে যোগ দেন তিনি।

১৯৯৫ সালের ৫ জুলাই আমাজন প্রতিষ্ঠা করেন জেফ বেজোস। শুরুতে বই বিক্রির প্ল্যাটফর্ম থাকলেও প্রতিষ্ঠার কয়েক মাসের মধ্যে আমাজন ডটকম যুক্তরাষ্ট্রের সব রাজ্যসহ ৪৫টি দেশে বই বিক্রি করে। ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই হাজার ৩০০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় তিনি অনলাইনে বিক্রয়যোগ্য ২০টি পণ্যের তালিকা তৈরি করেন। ধীরে ধীরে আমাজনের ব্যবসা বাড়ানোর পাশাপাশি ২০১৩ সালের আগস্টে ২৫ কোটি ডলারে প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট কিনে নেন জেফ বেজোস। গত বছর জেফ বেজোসের সম্পদ বৃদ্ধির মূল কারণ তার প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি।

সূত্র: সিএনবিসি।

একে//এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি