ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

গাড়ি চালাবে রোবট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০২, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

আর কিছুদিন পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়তো এমন গাড়ি রাস্তায় চলবে - যা আর মানুষকে চালাতে হবে না। একটি `কম্পিউটার মস্তিষ্কওয়ালা` রোবটই চালাবে গাড়ি।

বিবিসির সংবাদদাতা ডেভিড এডমন্ডস  সম্প্রতি  জাগুয়ার-ল্যান্ডরোভারের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ড. এমি রিমার সঙ্গে চালকবিহীন গাড়িতে চড়ে শহরে ঘুরেছেন। তাকে শুধু একটি বোতাম টিপে গাড়িটি চালু করতে হলো। তার পর গাড়ি চলতে শুরু করলো, ট্রাফিক সিগন্যালে থামলো, ডানে-বাঁয়ে ঘুরলো, তার পর এক জায়গায় সুন্দরভাবে পার্কও করলো।

ড. রিমার বলছিলেন, আর এক দশকের মধ্যেই এরকম গাড়ি রাস্তায় নামবে। এখন চলছে তার কারিগরী বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কাজ।

তবে অনেকের প্রশ্ন : চালকবিহীন গাড়ির সমস্যা শুধুই যান্ত্রিক নয়, এর একটা নৈতিক দিকও আছে।

রোবটের এই `নৈতিকতা` নিয়ে ২০০৪ সালে এক সেমিনারও হয়েছিল। ড্রাইভারবিহীন গাড়ির মতো এখন এমন ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি হয়েছে যা শত্রুর পাল্টা আক্রমণের মুখে নিজে নিজেই দিক পরিবর্তন করবে। কিন্তু এরকম রোবট কি বানানো যাবে যে ছুরি হাতে একজন যোদ্ধা এবং ছুরি হাতে একজন সার্জনের পার্থক্য বুঝতে পারবে?

সুজান এন্ডার্সন এবং তার স্বামী মাইকেল দুজনেই কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তারা মনে করেন, রোবটকে নৈতিকতা শেখানোর উপায় হচ্ছে প্রথমে তাকে কিছু নীতি শেখানো - যেমন দুর্ভোগ এড়িয়ে চলো, সুখকে উৎসাহিত করো ইত্যাদি। এর পর মেশিন বিভিন্ন রকম পরিস্থিতিতে এই নীতিগুলো কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা শিখতে পারবে।কেয়ারবট নামে একধরণের রোবট আছে যারা বয়স্ক মানুষদের বই বা খাবার এনে দিতে পারে, টিভি বা লাইট অন করে দিতে পারে। হয়তো একজন রোগীকে তার ওষুধ এনে দিতে পারে।

কিন্তু কোনো রোগীর জীবন কখন বিপন্ন এটা বুঝে সাহায্য চাওয়া - এটা কি ভাবে রোবট করবে?সুজান ও মাইকেল এন্ডারসন মনে করেন, রোবটের পক্ষে এসব ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জন করা সম্ভব।রোবটকে নৈতিক শিক্ষা দিতে গিয়ে কি কোন বিপদ হতে পারে?তবে মেশিনের শিক্ষাগ্রহণে সমস্যাও হতে পারে। তারা হয়তো ভুল জিনিস শিখে ফেলতে পারে। তাদের হয়তো এমন পক্ষপাত সৃষ্টি হতে পারে যা অসঙ্গত।

আরেকটা সমস্যা হলো শেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে রোবট কখন কি আচরণ করবে সেটার পূর্ব ধারণা পাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। হয়তো আগামিতে আরো অনেক বেশি কাজ মানুষের হয়ে রোবটই করে দেবে।

তাই মানুষের নিশ্চিত করতে হবে যে রোবটের মধ্যে যেন মানুষের মতো নানা রকম সংস্কার বা পক্ষপাত তৈরি না হয়। তবে যেহেতু কি হবে বলা যায় না, তাই ভালো কিছুও তো হতে পারে। হয়তো রোবট নৈতিক প্রশ্নে মানুষের চেয়েও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে - এমনটাও হতে পারে। সূত্র:বিবিসি

এম/এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি