ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সীতাকুণ্ডে আলোচনা সভা ও দোয়া

এম হেদায়েত,সীতাকুণ্ড

প্রকাশিত : ১৮:২৭, ২২ আগস্ট ২০২০

বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে খুনের রাজনীতি শুরু করেন একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-বিএনপির দোসররা। ১৫ আগষ্টের ধারাবাহিকতায় ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা। এদের কোন ক্ষমা নেই বলে মন্তব্য করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লা আল বাকের ভুঁইয়া।

গতকাল শুক্রবার সীতাকুণ্ড পৌরসভা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগষ্ট গ্রেণেড হামলা দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন।

এ উপলক্ষে সীতাকুণ্ড পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুস সামাদের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন জাহাঙ্গীর, গোলাম রব্বানী, ইউপি চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রেহান, ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল ইসলাম, সাঈদ মিয়া, পৌর প্যানেল মেয়র হারাধন চৌধুরী বাবু, কাউন্সিলর সফিউল আলম চৌ মুরাদ, দিদারুল আলম এ্যাপোলো,রতন মিত্র, মেজবা উদ্দিন, ছাত্রলীগ আহবায়ক শায়েস্তা খান, যুবলীগ সভাপতি শাহজাহান, ছাত্রলীগ নেতা মো. ফারুক, হুমায়ুন কবির স্বপন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক।

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তাঁর মৃত্যু নেই, তিনি চিরঞ্জীব। সমগ্র জাতিকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রেরণায় প্রস্তুত করেছিলেন ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে সশ্রস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তাই বাঙালি জাতির চেতনায় তিনি চিরঞ্জীব।” ১৫ আগষ্ট ৭৫ সালে জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে এই দেশে খুন,গণহত্যার রাজনীতি শুরু করেন তৎকালীন মোশতাক অনুসারী জিয়াউর রহমান। সবগুলো হত্যাকান্ডের বৈধতা দেন ইন্ডেমিনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আমলে ২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্ট আরেকটি নৃশংসহ ঘটনা সংগঠিত হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট এই দিনে গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবনধু এ্যাভেনিউ। শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিত গ্রেনেড হামনায় নিহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতির স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন শেখ হাসিনাসহ ৫'শ নেতাকর্মীও অনেক সাংবাদিক। এ হামলা ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশুন্য করতে তথা সংগঠনকে নিঃশেষ করতে এই হামলা।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি